করোনাকালে যাত্রীদের সময় চাহিদার ভিন্নতার কারণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবর্তিতত সময় অনুযায়ী ফ্লাইট চলাচল করছে। বর্তমানে ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৫টি, যশোর ৫টি, সৈয়দপুর ৪টি এবং সিলেট রুটে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। প্রত্যেকটি রুটেই সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ের জন্য সর্বনিম্ন নির্ধারণ করা হয়েছে ২,৫০০ টাকা।
বুধবার (১৭ জুন) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযাগ) কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, যেকোনও পরিবহনের তুলনায় সময় বিবেচনায় এয়ারলাইন্স সেক্টরে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটে আকাশপথে রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে সকাল ৭টা, ১১টা ৩০ মিনিট, দুপুর ৩টা ১৫ মিনিট, সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ৮টা ৩০মিনিটে ফ্লাইটগুলি পরিচালিত হচ্ছে। আবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে সকাল ৮টা ২৫ মিনিট, দুপুর ১২টা ৫৫মিনিট, বিকাল ৪টা ৪০ মিনিট, রাত ৮টা ২৫ মিনিট ও ৯টা ৫৫ মিনিটে।
ঢাকা থেকে যশোরে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে, দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট, দুপুর ২টা ৩০ মিনিট, বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। যশোর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট, দুপুর ৩টা, ৩টা ৪৫ মিনিট, বিকাল ৫টা ১৫ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে।
ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট, ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। সৈয়দপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে সকাল ১০টা, ১১টা ৩০ মিনিট, দুপুর ২টা ৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭টায়।
ঢাকা থেকে সিলেটে সকাল ৯টা ১৫ মিনিট ও বিকাল ৪টায় ফ্লাইটগুলি পরিচালিত হচ্ছে। সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট ও বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে।
বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে মোট ১৩টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৬টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ ও তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট। খুব শিগরই ঢাকা থেকে রাজশাহী, বরিশাল ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রত্যাশা করছে ইউএস-বাংলা। এছাড়া আন্তর্জাতিক রুট ঢাকা থেকে গুয়াংজু সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইউএস-বাংলার কার্গো ফ্লাইট ও স্পেশাল ফ্লাইট পরিচালনা অব্যাহত আছে।