৮ মার্চ তিন জনের করোনা শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল। এর আট দিনের মাথায় পাঁচ জন বেড়ে মোট শনাক্ত দাঁড়ায় আট জনে। বাঙালির বর্ষবরণের দিনে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার অতিক্রম করে। এরপর থেকে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে দ্রুত। প্রায় চার মাসের মাথায় এসে আক্রান্তের মোট সংখ্যায় ফ্রান্সকে অতিক্রম করলো বাংলাদেশ।
নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩ হাজার ২৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জনে। একই সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৫১ জনে।
ইউরোপের যে কয়টি দেশ করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের শিকার তার অন্যতম ফ্রান্স। দেশটিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত শুরু হয়। প্রায় সাড়ে চার মাসে দেশটিতে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জুনের শেষ দিক থেকে এখানে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করলেও সম্প্রতি নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে সেটি তিন অংকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। করোনা নিয়ে তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ড মিটারের তালিকায় ফ্রান্স এখন ১৮ নম্বরে আর বাংলাদেশ উঠে এসেছে ১৭ নম্বরে।
বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ফ্রান্সের তুলনায় বেশি হলেও করোনায় মৃতের সংখ্যা তুলনামুলকভাবে অনেক কম। ফ্রান্সে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯২০ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। অথচ এর কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ১৫১ জন।
সুস্থতার সংখ্যার দিক থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে। ফ্রান্সে এ পর্যন্ত ৭৭ হাজার ৩০৮ জন সুস্থ হয়েছেন। আর বাংলাদেশে এই সংখ্যা ৭৮ হাজার ১০২ জন। ।