করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবসহ যেকোনো দুর্যোগের সময় ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার বিল-২০২০ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
বুধবার (৮ জুলাই) সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী এ বিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সদস্যরা। তাদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।
বিলটি পাস হলে বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত, আপিল শুনানি, সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় প্রদানকালে পক্ষগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিলের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক না কেন, যেকোনো আদালত এই আইনের ধারা ৫ এর অধীনে জারিকৃত প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) সাপেক্ষে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থীগণ বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে যেকোনো মামলার বিচার বিচারিক অনুসন্ধান বা দরখাস্ত বা রায় প্রদান করা যাবে।
বিলে বলা হয়, বর্তমানে আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেওয়া হলেও কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে অধিকতর জনসমাগমকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের সকল আদালতে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী সকল পক্ষ বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান দরখাস্ত বা আপিল শুনানি বা সাক্ষ্য গ্রহণ বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ বা আদেশ বা রায় প্রদানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন ছিল।