1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গৌরীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, ২৪ ঘন্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা।। আহ্বায়ক ফরহাদ, সদস্য সচিব রবিন শেখ হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আমিন, সম্পাদক বিপ্লব ময়মনসিংহে ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিমুর বিরুদ্ধে মামলা গৌরীপুরে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত সেই শ্যামল গ্রেফতার জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের গল্প শুনলেন ড. ইউনূস ময়মনসিংহে ৮ দিন বন্ধের পর বিভিন্ন রুটে চালু হলো ট্রেন

আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০
  • ৩৬৫ Time View

গোটা দুনিয়া আজ আতঙ্কের বেলাভূমি। ঘরে-বাইরে সর্বত্র আতঙ্ক। নিরাপত্তা আর সতর্কতার চাদর ভেদ করে আতঙ্কের দানব চষে বেড়াচ্ছে সারা দুনিয়া। চীনের উহান প্রদেশে জন্ম হলেও ভাইরাসটির বিস্তৃৃতি এবং বসবাস এখন বিশ্বব্যাপী।

একের পর এক দেশকে আক্রান্ত করে করোনাভাইরাস শুধু অগ্রসর হচ্ছে। আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। স্থবির হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি দেশের সামগ্রিক জীবনযাত্রা। চীনের পরে আক্রান্ত দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্পেন। চীনের সাথে পৃথিবীর সব দেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। জাতিসঙ্ঘ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে। পবিত্র কাবার চত্বরে তাওয়াফ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মক্কা-মদিনায় দুই মসজিদে জুমার জামাতে উপস্থিতি সীমিত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের মসজিদগুলোতে আপাত নামাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে মসজিদে জামাতে নামাজ বন্ধ। সেখানে আজানের ভাষা পরিবর্তন করা হয়েছে। ঘরে বসে নামাজ আদায়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কানাডার সরকার আপদকালীন বিশেষ ভাতার ঘোষণা দিয়েছে। প্রায় সব ক’টি দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতিদিন নতুন নতুন দেশের নাম এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার প্রায় অর্ধশত মানুষকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে; কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে সহস্রাধিক মানুষকে। শুরুতে আমাদের দেশের সরকার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চায়নি। বরং কোনো কোনো মন্ত্রী এটিকে ‘বিরোধী মহলের অপপ্রচার’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা জনগণকে দায়িত্ব সচেতন, সতর্ক ও আস্থাশীল করবে। এর বিপরীত চিত্রই আজ ধরা দিচ্ছে। শুরুতে গুরুত্ব না দিলেও দিনে দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

ইসলাম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়াতে নিষেধ করেছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ইসলামেরই নির্দেশ। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আগে তোমার উট বাঁধো, তার পর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো’। মুহাম্মদ সা: নির্দেশ দিয়েছেনÑ ‘মহামারী আক্রান্ত এলাকার লোক যেন অন্য এলাকায় না যায়। একইভাবে যেখানে মহামারী নেই সেই এলাকার লোক যেন মহামারী আক্রান্ত এলাকায় না যায়’। এ দিকে গোটা দেশ শাটডাউন আতঙ্কে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। লাভবান হচ্ছে অসাধু চক্র। বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও যে জাতির নৈতিক মানের কোনো উন্নতির লক্ষণ দেখা যায় না, বড়ই আফসোস তাদের জন্য। সর্বত্র একটি আলোচনা এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ^বাসীর জন্য গজব। কিন্তু অন্যায়, অনাচার, মিথ্যা, ছলচাতুরী, ভণ্ডামি, স্বার্থপরতা, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, দুরাচার, অশ্লীলতা, অনৈতিকতা, জুুলুম-নির্যাতন, অপরের ক্ষতি করা, নির্লজ্জতা, গীবত, চোগলখোরি, পরনিন্দা, হিংসাবিদ্বেষ কোনো কিছুই নৈতিকভাবে দুর্বল জাতি পরিত্যাগ করছে না। মানুষকে আল্লাহ দুনিয়াতে এ জন্য কি পাঠিয়েছেন যে, তারা শুধু অন্যায়-অনাচার করেই যাবে আর আল্লাহ শুধু দেখতেই থাকবেন? ইতিহাস সাক্ষী, আল্লাহ গোটা দুনিয়াকে অথবা কোনো জাতি কিংবা জনপদকে প্রথমে সতর্ক করেন এবং সামান্য বিপদ দেয়ার পর বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেন। মহামারী আক্রান্ত জনপদ আজ গোটা বিশ্ব।

সময়ের বিবর্তনে আমাদের নৈতিক মানের উন্নয়নের পরিবর্তে অবনতির পাল্লাই যেন ভারী। আল্লাহ বিভিন্ন জাতিকে প্রথমে অবকাশ দিয়েছেন, সংশোধিত হওয়ার জন্য বারবার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু জাতিগুলো অন্যায় আচরণই করেছে। ফলে একেকটি জাতিসমূলে ধ্বংস হয়ে গেছে। গোটা পৃথিবী অন্যায়ের ভাগাড়। বিশ্ব চরাচরের যিনি মালিক তার বিধানের প্রতি বিদ্রোহকে ‘আধুনিকতা’ নামে অভিহিত করা হয়। আল্লাহর দেয়া বিধানকে বলা হয় অমানবিক ও মধ্যযুগীয় আইন। অশ্লীলতার নাম কথিত শিল্প ও সংস্কৃতি। শঠতার নাম দেয়া হয় বুদ্ধিমত্তা। নির্মম নির্যাতন আর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষকে হত্যার পর ঘোষণা দেয়া হয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের। মানুষ মারার অস্ত্র তৈরির পর পরাশক্তি হওয়ার জানান দেয়া হয়। বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ যখন ক্ষুধায় কাতরায় তখন উদ্বৃত্ত খাদ্য সমুদ্রে ফেলে অবারিত সম্পদ ও ভূমির মালিক রাষ্ট্রগুলো। দরিদ্র মানুষ আরো দরিদ্র হচ্ছে, তখন কিছু মানুষের ব্যাংকের হিসাবের স্ফীতি দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। ডাস্টবিনে মানুষ-কুকুর খাবার ভাগাভাগি করে। তখন বিলাসী জীবনের জানান দেয় অসৎ মানুষ। এমন পৃথিবী সবার কাম্য, যেখানে থাকবে শান্তি, সুবিচার, নৈতিক ও মানবিক পরিবেশ। মানবতার জন্য কল্যাণময় একটি সুন্দর পৃথিবী স্রষ্টার দেখানো পথে চলার মাধ্যমেই তার প্রকৃত রূপ ফিরে পারে।

অন্যায়-অনাচার, জুুলুম, বাড়াবাড়ি ও খোদাদ্রোহিতার ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব হিসেবে জীবাণু বা ভাইরাসের উৎপত্তি, ব্যাপ্তি ও আক্রমণ ঘটতে পারে। বিজ্ঞজনরা এ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর সাহায্যের মুখাপেক্ষীতে আহ্বান জানিয়েছেন, পাপ-পঙ্কিলতামুক্ত জীবন গঠন এবং আল্লাহতে সমর্পিত হওয়ার জন্য। মানুষ স্বীয় শক্তি, মেধা, যোগ্যতা এবং বস্তুগত উৎকর্ষের বিনিময়ে আল্লাহর দেয়া আজাব থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিজস্ব নিয়ম আছে; যে বিধানে শুধু বস্তুগত শক্তির দ্বারা সব কিছু মোকাবেলা করা যায় না। আল্লাহ যখন কোনো জাতির জন্য আজাবের ফায়সালা করেন, তখন সে আজাবকে মানুষ কখনোই স্বীয় শক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে সক্ষম হতে পারে না। পৃথিবী পরিচালনায় আল্লাহর স্বাভাবিক সিস্টেম সবসময় চলমান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে, তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এ নিয়মগুলো মেনে চলা আল্লাহর বিধান এবং সুন্নাহবিরোধী তো নয়ই, বরং ইসলামের অনুমোদিত। আল্লাহর অবাধ্যতা করলে আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি যেমন পরকালীন জীবনের অমোঘ বিধান, একইভাবে দুনিয়ার জীবনেও মাঝে মাঝে আল্লাহ শাস্তি দিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেন। অতীতে অনেক জাতিগোষ্ঠীকে আল্লাহর অবাধ্যতার কারণে ধ্বংস করেছেন।

আল্লাহ কোনো জাতিকে পঙ্গপাল দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন, কোনো জাতিকে ব্যাঙ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন, কাউকে সামান্য মশা অথবা ক্ষুদ্র পাখি দিয়ে শাস্তি দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা অতীতের জাতিগোষ্ঠীকে যেভাবে সমূলে ধ্বংস করেছেন, মুহাম্মদ সা:-এর উম্মতদের এভাবে সমূলে ধ্বংস করবেন না, যা শেষ নবীর দোয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত। মুহাম্মদ সা: আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। হে আল্লাহ, অতীতের জাতিগোষ্ঠীকে যেভাবে ধ্বংস করেছ, তুমি আমার উম্মতকে সেভাবে ধ্বংস করো না।’ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর প্রিয় রাসূলের এ দোয়া কবুল করেছিলেন। তাঁর দোয়ার বদৌলতে হয়তো আল্লাহ আমাদের সমূলে বিনাশ করবেন না। কিন্তু রোগ দিয়ে শায়েস্তা করবেন না, এমন কথা হাদিসে নেই। ‘আল্লাহর বাহিনী’ হিসেবে গোটা দুনিয়ার সব কিছু কাজ করছে। যখন যেটাকে আল্লাহ হুকুম করবেন, সেটাই ‘বিশাল বাহিনী’ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে। পবিত্র কুরআনের সূরা আল ফাতহে আল্লাহ বলেন, ‘আসমান ও জমিনের সব বাহিনী আল্লাহর কর্তৃত্বাধীন। তিনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী। হে নবী আমি আপনাকে সুসংবাদদাতা, সাক্ষ্যদাতা এবং ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি’ (আল কুরআনÑ৪৮ : ৭-৮)।
আল্লাহর বিধান মানলে দুনিয়ার ও আখিরাতের কল্যাণ। ‘ভয় প্রদর্শনকারী’ বলতে বোঝায় দুনিয়ার জীবনের অশান্তি ও আজাব ও গজব একইভাবে আখিরাতে অনন্তকালের শাস্তি। যারা আল্লাহর নির্দেশ ও বিধান মোতাবেক জীবনযাপন করবে তাদের জন্য কল্যাণ, যারা অমান্য করবে তাদের জন্য অকল্যাণ। ‘করোনা’ মানুষ খালি চোখে দেখতে পায় না। কিন্তু না দেখা এ বস্তুটি গোটা দুনিয়ার মানুষকে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। আল্লাহ কিভাবে তার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তার বর্ণনা কুরআনের পাতায় বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ বলেনÑ “তোমার ‘রবের’ সেনাদল বা সেনাবাহিনী (কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের ) তা শুধু তিনিই জানেন” (সূরা মুদ্দাসসির-৩১)।

পৃথিবীর প্রতিটি অণু-পরমাণুর ওপর রয়েছে আল্লাহর একক নিয়ন্ত্রণ। আল্লাহর সৃষ্টিরাজির ওপর মানুষ ততক্ষণ কর্তৃত্ব করতে পারে যতক্ষণ আল্লাহ অনুমতি দেবেন। তিনি তার সৃষ্ট বস্তুনিচয়কে মানুষের কল্যাণের যেমন নির্দেশ দেয়ার একক ক্ষমতাবান, একইভাবে তিনি সৃষ্টিরাজিকে মানুষের বিরুদ্ধে তাদের ধ্বংস এবং ক্ষতি করার জন্যও নির্দেশ দিতে পারেন। পবিত্র কুরআনের ঘোষণাÑ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর ওপর (অর্থাৎ আরশ, পঙ্গপাল কিংবা ভাইরাস) সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান, সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন’ (সূরা বাকারাÑ১৪৮)।

কিছু লোক ঘাটতি দেখা দেবে আশঙ্কায় বেশি খাদ্যদ্রব্য কিনে মজুদ করছে। সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ ভুলে গেছে, আল্লাহ রিজিকের মালিক, তিনি কেবল এ সঙ্কট থেকে উদ্ধার করতে পারেন। তিনি না চাইলে শত প্রচেষ্টা এবং মজুদ করার পরও খাদ্যঘাটতি দেখা দিতে পারে। আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছেÑ ‘তার পর আমি ফেরাউনের অনুসারীদের কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্মা ও ফসলহানি দিয়ে বিপন্ন করেছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল, তারা হয়তো আমার পথনির্দেশ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে’ (সূরা আরাফ-১৩০)। আল্লাহর এ ঘোষণার মূল বক্তব্য হচ্ছেÑ বিপদ, মুসিবত, দুর্ভিক্ষ সব কিছু থেকে মুক্তির জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই মুক্তি চাইতে হবে। তার কাছেই আত্মসমর্পণ করতে হবে। তার বিধানের আলোকে গোটা জীবন সাজাতে হবে। আল্লাহ না চাইলে কোনো বিপদ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। সব মতো, চিন্তা, বিভ্রান্তি পরিত্যাগ করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আমরা মুক্তির পথ খুঁজতে পারি। আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের পর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আল্লাহ তার করুণারাশি বর্ষণ করবেন।

নির্যাতিত অসহায় মানুষের আর্তনাদে আল্লাহর আরশ কাঁপলেও জালেমদের হৃদয়ে তার দাগ কাটে না। গৃহহীন মানুষগুলোর ফরিয়াদে আকাশ-বাতাস ভারী হচ্ছে, কিন্তু নিষ্ঠুরতা বন্ধ হচ্ছে না। মানুষ আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে যখন পৃথিবীকে নিজেদের ক্ষমতাচর্চার মঞ্চ বানায় তখন আল্লাহ জালিমদের শায়েস্তা করার জন্য গজব পাঠান। সূরা ইবরাহিমে আল্লাহ বলেনÑ ‘এখন এ জালেমরা যা কিছু করছে আল্লাহকে তোমরা তা থেকে গাফেল মনে করো না। আল্লাহ জালেমদের সময় দিচ্ছেন’ (আল কুরআনÑ ১৪ : ৪২)। নির্যাতিত জনতার আর্তনাদে পৃথিবীর অপরাপর মানুষ এগিয়ে না এলে আল্লাহ যখন গজবের ফায়সালা করেন, তখন দোষী-নির্দোষ সবাই এতে আক্রান্ত হয়।

মানুষের খালি চোখে না দেখা ভাইরাস দিয়ে আল্লাহ বিশ^বাসীকে হয়তো ঝাঁকুনি দিয়েছেন। তবে এর মোকাবেলায় বস্তুগত এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গ্রহণ ইসলামী বিধানের বিপরীত নয়। আল্লাহ বলেছেনÑ ‘আমি তোমাদের রোগ দিয়েছি এবং তার শেফাও দিয়েছি’। চিকিৎসাপদ্ধতি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে, তবে আস্থা রাখতে হবে কেবল আল্লাহর ওপর। আল্লাহর শাস্তি হতে বাঁচার জন্য অতীত পাপকর্মের জন্য তারই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে, তারই কাছে সাহায্য চাইতে হবে। আল্লাহ বিশ্বাবাসীকে সব ধরনের গজব থেকে হিফাজত করুন। পৃথিবীর মাটি, আকাশের উদারতা, সমুদ্রের বিশালতা সবার জন্য উন্মুক্ত অবারিত হোক; মহান রবের কাছে এ প্রত্যাশা।
Hafizurrahmanbd1978@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark