আসন্ন ঈদে শপিং না করে গরিব অসহায় ও কর্মহীনদের মাঝে অর্থ বিতরণ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ এসেছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন বাস্তবতায়, দেশ পার করছে সংকট কাল। এ পরিস্থিতিতে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঈদের শপিং না করে এর অর্থ অসহায়, দরিদ্র কর্মহীন জনগণের মাঝে বন্টনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ শনিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহবান জানান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা এবারের ঈদ উদযাপন করতে চাই, চাই ত্যাগের মহিমায় নিজেদেরকে অসহায় জনগণের সাথে একাত্ম করতে। পাশাপাশি ঈদের কেনাকাটায় সংযম ও পরিমিতিবোধ বজায় রাখার জন্য বিত্তবান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে এ সঙ্কটকালে মির্জা ফখরুল সাহেব ও তার দল বিএনপি জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে করোনা প্রতিরোধে মানবিক দায়িত্ব পালন করুন।
তিনি বলেন, আমাদের এই পরিস্থিতিতে কিছুতেই মনোবল হারালে চলবে না। স্বাস্থ্য বিধি, সামাজিক দুরত্ব আমাদের আরও কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের করোনা পরিস্থিতি আমাদের চেয়েও খারাপ। তারপরও তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য লকডাউন শিথিল করেছে। আমেরিকার ৪৭টি অঙ্গরাজ্যে লকডাউন তুলে নিচ্ছে। স্পেন, ইতালি, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে লকডাউন শিথিল করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকাও সচল রাখতে হবে। এই কারণে সরকার কিছু কিছু সাধারণ ছুটি শিথিল করেছে। শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে। আমাদের অর্থনীতিতে উৎসবকেন্দ্রিক অর্থনীতির একটা প্রভাব আছে। সরকার জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছে শপিংয়ে যাওয়ার বিষয়টি।কাউকে বাধ্য করেনি তবে সেক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে।
মন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অনলাইনে গুজব ছড়াচ্ছে। কোনো ঘটনা না ঘটলেও তা রটানো হচ্ছে। এসব গুজব ও অপপ্রচার উদ্দেশ্যমূলক। গুজব ও অপপ্রচার ভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
সূত্র : বাসস