জগলুল পাশা রুশো :
দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করার পরেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘ ৪ বছরেও কাজ শেষ হয়নি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে নেত্রকোণা এবং ঈশ্বরগঞ্জ থেকে আঠারবাড়ি পর্যন্ত সড়ক দুটির নির্মাণ কাজ। অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও দুটি সড়কের ৮ কিলোমিটার অংশে কাজ বন্ধ থাকায় চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তীর শিকার স্থানীয়রা।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে আঠারবাড়ি এবং ঈশ্বরগঞ্জ থেকে নেত্রকোণা সড়ক দুটির নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সড়ক দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে নেত্রকোণার সাথে ঈশ্বরগঞ্জ হয়ে ঢাকার দূরত্ব অর্ধশত কিলোমিটার কমে আসবে। অসমাপ্ত অংশ এবড়োথেবড়ো থাকায় যান উল্টে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, ক্ষতি হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশের। বিদ্যমান সঙ্কট দূর করে এবং প্রশাসনিক তৎপড়তা বৃদ্ধি করে অবিলম্বে সড়ক দুটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।
সবচে বেশি ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে যাওয়া আসা রোগী ও তার স্বজনদের। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাবে সড়ক দুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তী নিয়ে তাদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষি, অর্থনীতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ থেকে নেত্রকোণা পর্যন্ত সাড়ে ২৮ কিলোমিটার সড়কটির ব্যায় ধরা হয়েছে ৪৮২ কোটি টাকা এবং ঈশ্বরগঞ্জ থেকে আঠারবাড়ি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কটির ব্যায় ধরা হয়েছে ১১৬ কোটি টাকা।
মূলত ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় ৮ কিলোমিটার অংশে ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে ভূমি মালিকরা জমি ছাড়তে না চাওয়ায় আটকে আছে নির্মাণকাজ। এজন্য প্রশাসনের গাফিলতিকে দুষছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ গ্রাম ও পৌর এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া বাজারমূল্য অনুযায়ী জমির দাম নির্ধারণ করা হয়নি এবং কিছু অংশে সড়কের দুপাশে অধিগ্রহণের কথা থাকলেও সে নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটিয়ে শুধুমাত্র রাস্তার একপাশে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
সড়ক বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের দাবি শীঘ্রই নোটিশ প্রদান ও ক্ষতিপূরণ দিয়ে সড়ক দুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছে। আগামী এক মাসের মাঝে জমি বুঝে পেলে ডিসেম্বরের মাঝে কাজ শেষ করার আশ্বাসের কথা জানিয়েছেন সড়ক বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলম।
তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মেহেদী হাসান জানিয়েছেন ৪ ধারা, ৭ ধারা এবং ৮ ধারায় নোটিশ প্রদানের প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোন জমি মালিক যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য তাদেরকে প্রাপ্য অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং সড়ক বিভাগের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত সড়ক দুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।