জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার এ খবর দিয়েছে।
জাপানে সবাইকে বাড়িতে বসবাসের সাথে সাথে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
গত মার্চের সংশোধিত আইন অনুযায়ী, জাপানে যদি কোনো রোগের দ্রুত বিস্তার যদি জনজীবন ও অর্থনীতিতে ‘গুরুতর বিপদ’ তৈরি করে তবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যাবে। তবে এই জরুরি অবস্থা দুই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ভাইরাসের তীব্র সংক্রমণ ঘটে যাওয়ার পর টোকিও ও অন্য স্থানগুলোতে এই ঘোষণা দিয়ে শিনজো আবে এক ধরনের চাপে পড়েছেন। অন্যদিকে দেশটিতে সীমাবদ্ধ চলাচল ও ব্যবসার গতি অর্থনীতিতে মারাত্মক আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও দেশটির ইনস্টিটিউট ওফ পাবলিক হেলথের মহাপরিচালক নুবোহিকো ওকাবি বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে ১০০ শতাংশ সঠিক কোনো পদক্ষেপ নেই।
এদিকে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই পদক্ষেপ নিতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। কেননা ইতোমধ্যে টোকিওতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটেছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৬৫৪ ও মৃতের সংখ্যা ৮৫ জন।
গতকাল রোববার একদিনে দেশটিতে ধরা পড়েছে ৫১৫ জন নতুন রোগী ও মারা গেছে আটজন।
সংক্রমণের এ হঠাৎ বৃদ্ধির কারণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
সূত্র : রয়টার্স