1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশী অস্ত্রসহ মাদক উদ্ধার গৌরীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, ২৪ ঘন্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা।। আহ্বায়ক ফরহাদ, সদস্য সচিব রবিন শেখ হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আমিন, সম্পাদক বিপ্লব ময়মনসিংহে ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিমুর বিরুদ্ধে মামলা গৌরীপুরে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত সেই শ্যামল গ্রেফতার জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের গল্প শুনলেন ড. ইউনূস

করোনাভাইরাস: লকডাউনের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ কেন?

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৫৫ Time View

বাংলাদেশে বকেয়া বেতনের দাবিতে শত-শত গার্মেন্টস শ্রমিক বুধবার ঢাকা শহর এবং এর আশপাশের এলাকায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। ঢাকার দারুসসালাম, মিরপুর, উত্তর ও দক্ষিণখানসহ বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে। এছাড়া গাজীপুর এলাকায়ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন, বহু গার্মেন্টস মালিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেতন আটকে রেখেছে।

গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় অবস্থিত একটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক সাবিনা আক্তার টেলিফোনে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাদের কোন বেতন দেয়া হয়নি। তিনি বলেন,‘আজকে ১৫ তারিখে আমাদের অফিসে আসতে বলছে। আজকেও আমাদের স্যালারি দিতেছে না। আমরা কিভাবে আমাদের পেটে ভাত দিব?’

সাবিনা আক্তার জানান, গত ৭ই এপ্রিল পর্যন্ত তারা কারখানায় কাজ করেছেন। এরপর মালিকপক্ষ নোটিশ দিয়ে কারখানা বন্ধ করে।

ঢাকার উত্তরখান এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন মাসুদ রানা। তিনি টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে জানান, তাদের গত দুই মাসের বেতন পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ।

‘আমাদের তো বাঁচতে হবে। আমরা তো গত দুই মাস ডিউটি করছি। ঐ দুই মাসের বেতন দিক। মালিকরা করোনার টালবাহানা দিতেছে।’

গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন জলি তালুকদার। তিনি বলেন গত একমাসে হাজার-হাজার গার্মেন্টস শ্রমিককে চাকুরী থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে।

‘আমরা ৪০-৪৫ টা গার্মেন্টসে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ছাটাইয়ের তালিকা করেছি।’

তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার জন্য মালিক-পক্ষ একাধিক দিন ধার্য করলেও তাতে কোন কাজ হয়নি। ফলে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, গার্মেন্টস খাতে প্রতিবছর রপ্তানি আয় প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার হলেও কেন তারা শ্রমিকদের একমাসের বেতন নিশ্চিত করতে পারলো না?

জলি তালুকদার অভিযোগ করেন, শ্রমিকদের মজুরি আটকে রেখে এবং ছাঁটাই করার মাধ্যমে মালিক-পক্ষ হয়তো সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে।

‘মালিকরা শ্রমিকদের দিয়ে আরেক ধরণের চাপ তৈরি করে এরা বড় ধরণের দরকষাকষির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমার ধারণা।’

মালিকপক্ষ কী বলছে?

করোনাভাইরাস সংক্রমণ-জনিত অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে বাংলাদেশ সরকার গার্মেন্টস সহ রপ্তানি খাতের জন্য প্রণোদনা হিসেবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিতরণের এক রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে। তবে শর্ত হলো, এ টাকা দিয়ে শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে। মালিকরা এই ‘কা পাবেন দুই শতাংশ হারের সুদে ঋণ হিসাবে। সরকার যে টাকা দিয়েছে সেটি দিয়ে এপ্রিল মাস থেকে বেতন পরিশোধ করার কথা। কিন্তু মার্চ মাসের বেতন মালিকদের পরিশোধ করার কথা।

তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বা বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক বলেন, বিজিএমইএ’র আওতায় যত কারখানা আছে সেখানে প্রায় ২৬ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে।

বিজিএমইএ’র আওতার বাইরেও আরো প্রায় ২০ লক্ষ শ্রমিক আছে বলে শ্রমিক নেতারা বলছেন।

রুবানা হক বলেন, আগামী ১৬ই এপ্রিল শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার সর্বশেষ সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

‘এখানে মালিকদের দোষ দেবার আগে আপনারা ক্রেতাদেরও একইভাবে বলবেন।’

তিনি বলেন, এক ধরণের অনিশ্চয়তা থেকে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে।

‘ওয়ার্কারের এই অনিশ্চয়তা মালিকপক্ষ থেকে আসেনি। এটা এসেছে ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল করেছেন বলে।’

শ্রমিকদের বেতন আটকে রেখে কিংবা ছাটাই করার মাধ্যমে মালিক নতুন করে দরকষাকষির নতুন কোন ক্ষেত্রে প্রস্তুত করছে কি?

এমন প্রশ্নে রুবানা হক বলেন,‘প্রশ্নই উঠে না। এটা যদি কেউ বলে থাকেন, মিথ্যা কথা বলছেন। আমরা এর শক্ত প্রতিবাদ করছি। যেখানে আমরা পোশাক শিল্পে ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছি, সেখানে আমারা আমাদের কোটি-কোটি টাকার ইনফ্রাস্টাকচারকে আমরা এভাবে সামনে ঠেলে দেব হুমকির মুখে?’

রুবানা হক বলেন, ৮০ শতাংশ করাখানা প্রত্যেক মাসে ঠিকমতো দেয়।। বাকি ২০ ভাগ হয়তো ঠিকমতো বেতন দিতে পারে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র : বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark