নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক যুবককে করোনার দুর্গতদের সাহাজ্যের জন্য সাহাজ্য তুলে আত্মসাতের দায়ে এক যুবককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া নষ্ট চাল বিক্রির দায়ে আরেক জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এ দণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া দূর্গা মিল ক্যাম্পের মো: ফারুকের ছেলে সাহিদ হোসেন তাজ (২৮) এবং শহরের বাজারের চাউল ব্যবসায়ী ইয়াসিনের ছেলে শামিম হোসেন (৩০)।
জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত সাহিদ হোসেন তাজ এদিন বিকাল ৫টার দিকে শহরের হাতিখানা ক্যাম্পে গিয়ে ’মিশন সেভ বাংলাদেশ’ নামের একটি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ প্রদানের জন্য সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই সৈয়দপুর প্রতিনিধি হিসেবে তাজ ওই ক্যাম্পে সদস্য সগ্রহ করার জন্য ১৩ জনের কাছ থেকে ১শ’ টাকা করে নেন।
খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার এসআই মো: খালেদ ফিরোজ নয়ন ও এএসআই নুর আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে জেরা করলে তাজ তার অর্গানাইজেশনের কোনো কাগজপত্র বা বৈধ স্বীকৃতিপত্র দেখাতে না পারায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন। পরে আদালত তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
অন্যদিকে শহরের চাল ব্যবসায়ী শামিম নষ্ট চাল বিক্রি করাকালীন ভ্রাম্যমাণ আদালত হাতেনাতে আটক করে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষের সাথে প্রতারণার দায়ে যুবক তাজকে ৫ হাজার টাকা এবং নষ্ট চাল বিক্রির কারণে শামিমকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।