নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘিঞ্জি জেলখানাগুলো থেকে বন্দীদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ভারত ইত্যাদি দেশ এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তা ছাড়া ইতোমধ্যে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারুল্যান্ড।
ইন্দোনেশিয়া প্রায় ৩০ হাজার বন্দীকে সাজার মেয়াদ শেষের আগেই ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি নথিতে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক বন্দীরা সাজার দুই-তৃতীয়াংশ মেয়াদ পূর্ণ করে থাকলে তারা পেরোলে মুক্তি পাবে। আর শিশুদের ক্ষেত্রে মেয়াদের অর্ধেক সময় কারাভোগ করে থাকলে তারা মুক্তি পাবে। প্যারোলেই প্রায় ৩০ হাজার বন্দী মুক্তি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের চতুর্থ জনবহুল দেশ। সেখানে করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত এক হাজার ৪১৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১২২ জন।
সরকারি হিসাব মতে, ইন্দোনেশিয়াজুড়ে বন্দী আছে ২৭০,৩৮৬ জন। এ সংখ্যা জেলগুলোর ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি। অনেক জেলেই পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা না থাকায় জেলের বন্দীরা করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। এ কারণেই ঝুঁঁকি কমাতে বন্দী মুক্তির এ পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। একই কারণে বন্দী মুক্তির পদক্ষেপ নিচ্ছে তুরস্কও। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ৯০ হাজার বন্দীকে হয় গৃহবন্দী করে রাখা কিংবা প্যারোলে মুক্তি দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান গত মঙ্গলবার ৪৫ হাজার বন্দীকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়ার একটি বিল প্রস্তাব করেছেন। সূত্র : রয়টার্স