১৬ জুলাই ২০২৩, কাগজ ডেস্ক
প্রায় ৫ ঘণ্টা পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এফডিসি রেল ক্রসিং থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। দুপুরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা রেলপথ থেকে সরে দাঁড়ান। এসময় পুলিশের তেজগাঁও জোনের এডিসি হাফিজ আল ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা। এরপর রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটে রেল ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
শ্রমিকদের আশ্বস্ত করতে মহাব্যবস্থাপক বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল জুন মাসের পর আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে। সেই আউটসোর্সিং কোম্পানির জন্য টেন্ডার ডকুমেন্টে আমরা শর্ত দিয়ে দিয়েছি আমরা অভিজ্ঞ লোক চাই। আপনারা যারা এখানে আন্দোলন করছেন তাদের আমরা অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট দেব। একই সঙ্গে আমরা আউটসোর্সিং কোম্পানিকে বলব যেন আপনাদের তারা নিয়োগ দেয়। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আমরা আপনাদের রেলওয়েতে নিয়োগ দেব, এটা আমাদের ইচ্ছা ও বাসনা।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি আপনারা ট্রেন আটকে দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা থেকে সরে আসবেন। আমরা আইনের মধ্যে থেকে আপনাদের সর্বোত্তম সহযোগিতা করব।
পুলিশের এডিসি হাফিজ আল ফারুক শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনাদের (আন্দোলনকারী) সঙ্গে কথা বলতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জিএম এখানে এসেছেন। তিনি বলেছেন, রেলে আউটসোর্সিংয়ে লোকবল নিয়োগের সময় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেবেন। পাশাপাশি আগে যারা অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন তাদেরও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের অফিসে বসে করতে হবে। এটা রেল লাইনে বসে করার বিষয় নয়।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সকাল থেকে রেল লাইনটা বন্ধ করে রেখেছেন, এখানে একজন মুমূর্ষু রোগী থাকতে পারে, একজন চাকরিজীবী থাকতে পারে। মানুষের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই এখানে আন্দোলন না করে আপনারা আলোচনা করুন।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে এফডিসি রেলগেট এলাকায় রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। তারা প্রথমে তিতাস কমিউটার ট্রেন আটকে দেন।
বাংলাদেশে রেলেওয়েতে নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকদের (টিএলআর) চাকরি ফেরত দেওয়া, স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল এবং নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে আগের মতো ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পাস বহাল রাখার দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা বলেন, আমরা বারবার রেল ভবনে স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।