কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিদ্যুতের আগুনে একটি আধা পাঁকা ঘর ও ঘরের যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও আগুন স্পর্শ করেনি ঘরের শানসিটে রাখা কোরআন শরিফ।
বুধবার সকালে উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামের মৃত আ: ছালামের পুত্র হাজী মো: আবদুর রাশিদ বাড়িতে।
ক্ষতিগ্রস্ত মো: আবদুর রাশিদ জানান, বুধবার সকালে পাশের বাড়ির স্বপন মিয়ার ঘরের মিটার স্থানান্তরের সময় আমার বসতবড়ির উপর দিয়ে যাওয়া সার্ভিস তারে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন আমার ঘরে লেগে মুহুর্তের মধ্যেই সমগ্র ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন লাগার সংবাদ কটিয়াদী ফায়ার সার্ভিস অফিসে জানালেও তারা আসার পূর্বেই আধা পাঁকা ঘরের চাল, যাবতীয় আসবাবপত্র ও ঘরে থাকা টাকা পয়সা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার সংবাদে পেয়ে এলাকার লোকজন ছুটে এসে শত চেষ্টা করেও আগুন নিভাতে পারেনি।
আগুন নিভে যাওয়ার পর আমরা ঘরের ভিতর গিয়ে কিছুই পাইনি। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে শানসিটে রাখা কোরআন শরিফের একটি পাতাও আগুনে পুড়ে যায়নি। কোরআন শরিফের নিচে একটি খাতা ছিল। খাতাটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে মানুষের মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। অক্ষত এই কোরআন শরীফ খানা দেখতে শতশত লোকজন ভীড় করতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী আল আমিন ওয়াজেদ ভুইয়া, জানান এতদিন শুধু বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি আল্লাহর কোরআর কখনো আগুনে পোড়ে না। আজ বাস্তব জীবনে দেখলাম। দক্ষিণ পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামে হাজী আবদুর রাশিদের বাড়িতে বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে ঘরের সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়, কিন্তু আল্লাহর কোরআনের একটা অক্ষরও কিছু হয়নি। কোরআর শরিফের নিচে একটা খাতা ছিল সেটাও পুড়ে ছাই, অথচ কোরআনের কিছুই হয়নি। ঘটনাটি দেখে আমি খুবই স্পর্শকাতর হয়ে পড়ি। চোখে পানিও এসে পড়েছিল। এখান থেকেই বুঝা যায় আল্লাহ চাইলেই সবকিছু করতে পারে।