পুলিশের হাতে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ অভ্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে উত্তর ক্যারোলিনা ও নিউইয়র্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনাবাহিনীকে রাস্তায় নামাতে প্রস্তুত রেখে ছিলেন। ১৯৯২ সালে লস এঞ্জেলসের দাঙ্গার পর অভ্যান্তরীণ ঘটনা মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে রাস্তায় নামানোর কোনো নজির নেই যুক্তরাষ্ট্রে। প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শুক্রবার রাতে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ডেট্রয়েট শহরে ১৯ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী গুলিতে নিহত হয়েছেন।
শুক্রবারের দাঙ্গার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গতরাতে সাড়ে ১১টায় ডেট্রয়েটের গ্রীকটাউনে কাছে ভিড়ের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়৷ সেই গুলিতে ওই যুবক নিহত হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ জানান, তাদের কর্মকর্তারা ওই গোলাগুলিতে জড়িত ছিলেন না৷ তবে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে সে সম্পর্কে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের বিরুদ্ধে নিহত ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগের পর থেকেই বিক্ষোভ তীব্রতর হয়ে উঠেছে। যা এখন কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা কর্মীরা হোয়াইট হাউস তালাবন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ডেট্রয়েট শহরে দাঙ্গায় উপস্তিত অনেক বিক্ষোভকারীই ডেট্রেয়টের বাসিন্দা নন। ওই দাঙ্গার ঘটনায় পুলিশ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে।
তবে পুলিশ প্রধান জেমস ক্রেগ বলেছেন, গ্রেফতার ও আহতের সংখ্যা এখনো সঠিকভাবে যায়নি। এদিকে মিনেপোলিসের বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় কারফিউ অস্বীকার করেছে ও ন্যাশনাল গার্ড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ।
গত সোমবার জর্জ ফ্লয়েড নামে ৪৬ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশের হাতে আটকের পর মারা যান। অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে, মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় হাঁটু দিয়ে ফ্লয়েডের ঘাড় চেপে ধরতে দেখা যায় এক পুলিশ সদস্যকে।
সূত্র : ডেইলি মেইল