নগরের পার্কভিউ, ম্যাক্স, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে করোনা সন্দেহে ভর্তি নেয়নি নগর বিএনপির সহ-সভাপতি লায়ন মো. কামাল উদ্দিনকে। মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি নিলেও অক্সিজেন পাননি তিনি। পরে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে মারা যান কামাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ভোর রাতে তিনি মারা যান।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, তার করোনার উপসর্গ ছিলো। শ্বাসকষ্টে বেড়ে যাওয়ায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মা ও শিশু হাসপাতালে। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা বসেছিলেন তিনি, এরপরও অক্সিজেন মেলেনি।
পার্কভিউ, ম্যাক্স ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোথাও করোনা সন্দেহে ভর্তি নেয়নি। ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে যখন আনা হয় তখন তার অক্সিজেন নেমে গিয়েছিলো ৭৮-এ। তখন তার আইসিইউ সাপোর্ট লাগতো। কিন্তু ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে তিনটি আইসিইউ শয্যার মধ্যে তিনটি রোগী ভর্তি ছিলো।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সব হাসপাতালে আইসিইউর খোঁজ করা হলেও কোথাও আইসিইউ মেলেনি। মূলত আইসিইউর অভাবে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে নগর বিএনপির নেতারা শোক প্রকাশ করেন।
এদিকে কামাল উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে কামাল উদ্দিন পাশে ছিলেন। সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে তার অবদান অনেক। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানায়।