ইরান অথবা এর সমর্থিত গোষ্ঠী যদি ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর লুকিয়ে হামলা চালায় তাহলের এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। গত বুধবার এক টুইট বার্তায় এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হঠাৎ এই করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে ট্রাম্প কেন এমন হুঁশিয়ারি দিলেন তা বিস্তারিত জানা যায়নি। জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইরান যুদ্ধের সূচনা করে না । তবে হামলা হলে কঠোর জবাব দেয়া হবে।
টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, তথ্য এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে বলতে পারি ইরান এবং এর সমর্থক গোষ্ঠী লুকিয়ে মার্কিন সেনা অথবা ইরাকে থাকা সম্পদের ওপর লুকিয়ে হামলা করতে চাইছে। যদি তা হয় ইরানকে এ জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। সম্প্রতি ইরাকে ইরান বা এর সমর্থক গোষ্ঠী আবার হামলা চালাতে চায় এমন তথ্য দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দারা । এ ছাড়া সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনিও এক গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে উসকানি দিচ্ছে। আর এসব বিবেচনা করে হয়তো ট্রাম্প ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
এ দিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, তার দেশ কোনো যুদ্ধের সূচনা করেনি, কখনো কোনো যুদ্ধ শুরু করবেও না। তবে কেউ যদি তার দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় তাহলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক অভিযোগে জবাবে জারিফ এসব কথা বলেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য নাকচ করে জারিফ আরো বলেন, ‘ইরাকে ইরানের কোনো প্রক্সি নেই বরং সেখানে আমাদের বন্ধু আছে।’
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ইরাকের কে১ মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটে। তখন প্রায় ৩০টি রকেট হামলায় নিহত হয় এক মার্কিন ঠিকাদার। হামলার জন্য ইরানের ঘনিষ্ঠ ইরাকি গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহকে দায়ী করে তাদের অবস্থানে পাল্টা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। নিহত হয় গোষ্ঠীটির প্রায় ২৫ সেনা। এর কয়েক পর বাগদাদে বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও কাতাইব হিজবুল্লাহর সহপ্রতিষ্ঠাতা আবু মাহদি আল মুহান্দিসকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ হত্যার প্রতিশোধ নিতে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকের ইরবিল ও আইনুল-আসাদে অবস্থিত দুই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এর পরেও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। সূত্র : রয়টার্স