1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গৌরীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, ২৪ ঘন্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা।। আহ্বায়ক ফরহাদ, সদস্য সচিব রবিন শেখ হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আমিন, সম্পাদক বিপ্লব ময়মনসিংহে ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিমুর বিরুদ্ধে মামলা গৌরীপুরে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত সেই শ্যামল গ্রেফতার জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের গল্প শুনলেন ড. ইউনূস ময়মনসিংহে ৮ দিন বন্ধের পর বিভিন্ন রুটে চালু হলো ট্রেন

গোপালগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর দাফন সম্পন্ন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০
  • ৩৬৩ Time View

গোপালগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে প্রতিমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কেকানিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এর আগে বাড়ির মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রয়াতের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ স্বান্থ্যবিধি মেনে প্রতিমন্ত্রীর জানাজায় শরিক হন।
এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে সরাসরি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মরদেহ কেকানিয়া গ্রামে এসে পৌঁছায় এবং বিকেল ৪ টা ৫৫ মিনিটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা অনুষ্টিত হয়। পরে পারিবারিক কবরাস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও গোপালগঞ্জের প্রিয়মুখ শেখ মোহাম্মদ ও আব্দুল্লার মৃত্যুর খবরে জেলার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুর খবর শুনার পর শহরের কলেজ রোডের বাসায় ও গ্রামের বাড়িতে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচর, সহকর্মী, নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা ছুটে যান।

উল্লেখ্য, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বার্তায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমদেনা জানান।

আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রমের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৯ কন্যা, ১ পুত্র, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি খুলনার আযম খান কমার্স কলেজে প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে রাজনীতিতে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হন। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে তিনি আওয়ামী যুবলীগে যোগদান করেন।

এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সরাসরি তত্ত্বাবধানে গঠিত গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রতষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত হয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট মুজিব বাহিনীর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশ সেবা করার লক্ষ্যে চাকুরির পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তাঁর নেতৃত্বে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি জাতীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে বিভিন্ন সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী সংসদীয় আসন ২১৭, গোপালগঞ্জ-০৩ (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে যতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ তার পক্ষে নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার সংসদীয় প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ দীর্ঘদিন যাবত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে। এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark