ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ডৌহাখলা ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর/২০২৪) কলতাপাড়া বাজারে বিক্ষোভ, স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ মো. আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এ হান্নান সরকার। সঞ্চালনা করেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান সোহেল। বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য এস এম দুলাল, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান কবির হীরা, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম শাহীন, বিএনপি নেতা এ কে এম আবদুল্লাহ, নিহতের বড় ভাই বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ বাশার ঝুলন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির, গৌরীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উসমান গনি তান্না, ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নূর প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর উপজেলার ডৌহখলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে বাক-বিতন্ডার জেরে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ চৌধুরীর ওপর হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে। গত ৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত সোহাগ উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের বাসাটি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
এদিকে সোহাগ নিহতের ঘটনায় তার বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর গৌরীপুর থানায় নাম উল্লেখ ১৪ জন ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল মালিক বলেন, সোহাগ চৌধুরী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রহমত উল্লাহকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে গ্রেফতারের পর গত সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।