ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে বহির্গমনে বিপুল সংখ্যক প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসহ অন্য ব্যক্তিগত যানবাহন ফেরত পাঠাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট, মোগড়াপাড়া, বন্দরের মদনপুর, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকাসহ আটটি চেকপোস্ট বসিয়ে জেলা পুলিশ এ তৎপরতা শুরু করেছে। এ সময় লকডাউনের আওতামুক্ত মহাসড়কে চলাচলকারী এ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন ধরণের পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া চলাচলে নিষিদ্ধ করা কয়েক হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি পুলিশ থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেয়।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের আটকে দেয়া বেশির ভাগ প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি ও মোটর সাইকেলগুলো নানা অজুহাতে মহাসড়কে বের হচ্ছে।
ব্যক্তিগত ওই পরিবহনগুলোর যাত্রীরা ঢাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেছেন এবং কেউ কেউ ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকায় প্রবেশ বা বাহির হওয়ার জন্য যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গত কয়েক দিনের তুলনায় মঙ্গলবার ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ অনেকটা কম রয়েছে। তবে ঢাকা থেকে প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য বিপুল পরিমাণ যানবাহন বের হয়ে যাচ্ছে। তবে পুলিশ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনাঘাট ও সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় দুটি চেকপোস্ট বসিয়ে ব্যক্তিগত যানবাহন প্রাইভেটকার মাইক্রোবাস সিএনজি মোটরসাইকেল চরে যে সব যাত্রী ঢাকায় প্রবেশের চেষ্টা করছেন এবং যারা ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন সেসব গাড়ি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। ঢাকায় প্রবেশ বা বের হওয়ার জন্য যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে এসব যানবাহনকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, শিমরাইল মোড়, কাচপুর, মদনপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক লোকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদকে সামনে রেখে এসব যাত্রীরা ঢাকা থেকে বের হওয়ার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকার কারণে এসব যাত্রীরা ছোট ছোট যানবাহন মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, রিকশা ভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে মহাসড়কের পাশে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও পরিবহন না পেয়ে ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম জানান, করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেউ যাতে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঢাকায় প্রবেশ বা ঢাকা থেকে বের হতে না পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তিনি জানান, যৌক্তিক কারণ ছাড়া নানা অজুহাতে যেসব গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করছে তাদের ঘুরিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ঘাট, লাঙ্গলবন্দ, মদনপুর, কাঁচপুর, সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ নারায়ণগঞ্জ অংশে আটটি চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকার প্রবেশ ও বাহিরের বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে।