খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চলতি বোরো মওসুমে সারাদেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব হবে না। সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না, বরং খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে।
শনিবার দুপুরে মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে নওগাঁ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহ, আম উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মন্ত্রী বলেন, আশা করা যাচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি ৫০লাখ মেট্রিক টন চাল (বোরো এবং আমন) উৎপাদিত হবে। এছাড়া প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদিত হবে। এই উৎপাদন দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত থাকবে। তাই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারীভাবে অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার বেশী ধান চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় বড় সহায়ক হবে।
সাধণ চন্দ্র মজুমদারা বলেন, দেশে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবেলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। শস্য সংগ্রহে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে বলেন মন্ত্রী। এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহবান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, লটারির মাধ্যমে কৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোন কৃষক তার টিকিট মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট বিক্রি করে তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল করা হবে এবং সে সমস্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতা এ নে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।
দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আগে থেকেই সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে পাঁচ মাস প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা করে বিতরণ করা হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আরো ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা করে দেবার জন্য সারাদেশে তালিকা তৈরীর কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদি কেউ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলে তবে তাকে অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। গ্রাহকদের প্রবেশের সময়ে হ্যান্ড গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রবেশপথে হাত ধোয়ার জন্য সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে তাদের প্রতি অনুরোধ জানান খাদ্যমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে নওগাঁ-৪ আসনের এমপি ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, নওগাঁ-৩ আসনের এমপি সলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৫ আসনের এমপি ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, জেলা সিভিল সার্জন আখতারুজ্জামান, জেলার ১১ টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার, সহ সেনা, বিজিবি, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।