১৬ জুলাই ২০২৩, কাগজ ডেস্ক:
চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। শুক্রবার এলভিএম-থ্রি রকেটে করে চাঁদে উৎক্ষেপণ করে বিক্রম। ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সঠিক পথেই উড়ে যাচ্ছে চন্দ্রযান বিক্রম। প্রথম কক্ষপথে প্রতিস্থাপনও সফল হয়েছে। এভাবেই একের পর এক কক্ষপথ পাড়ি দিয়ে চাঁদে পৌঁছে যাবে বলে বিশ্বাস ইসরোর।
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশে সুস্থ রয়েছে। চাঁদে যাত্রা করতে প্রথম কক্ষপথে স্থাপন হয়েছে। ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মিশন মহাকাশে সফলভাবে পথ অতিক্রম করে যাচ্ছে। ভারত থেকে চাঁদে অভিযানের একদিন পর মহাকাশ থেকে এই আপডেটটি আসে ইসরোতে।
ইসরো জানিয়েছে, মহাকাশযানটি বর্তমানে ৪১৭৬২x১৭৩ কিলোমিটার কক্ষপথে রয়েছে। এটি উল্লেখ্য যে, মহাকাশযানটি দুটি মহাকাশীয় বস্তুর মধ্যে ৩,৮৪,০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে চাঁদে পৌঁছতে পৃথিবীর চারপাশে বেশ কয়েকটি কক্ষপথ উত্থাপনের কৌশলের মধ্য দিয়ে যাবে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের জন্য ভারতের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। এটি চন্দ্রযান সিরিজের তৃতীয় মিশন। ৬১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মিশনের লক্ষ্যে নেমেছে ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো যদি এই মিশনে সফল হয়, তবে ভারত হবে চতুর্থ দেশ, যারা চাঁদের মাটিতে মহাকাশ যান নামাতে সফল হল। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনই এই কীর্তি অর্জন করতে সফল হয়েছে। ভারত এখনও সেই গৌরব অর্জন করতে পারেনি। তবে ইসরোর চন্দ্রযান-২ এই মিশনে প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পরই বিপত্তি ঘটে। ভারতের মহাকাশযান চাঁদরে মাটিতে ধ্বংস হয়ে যায়।
এবার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় চন্দ্রযান-৩ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণের ৯০০ সেকেন্ডের পর মহাকাশযান সবথেকে রকেট এলএমভি-৩ থেকে আলাদা হয়ে যায়। চন্দ্রযান ৩-এর বেগ বাড়ানোর জন্য ধীরে ধীরে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টান বাঁচিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথ-উত্থাপনের কৌশলগুলি প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। মহাকাশযানটি একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে। ট্রান্স-লুনার ইনজেকশন নামে পরিচিত অরবিটাল ম্যানুভারের একটি সিরিজ সঞ্চালন করবে এই চন্দ্রযানকে। ধীরে ধীরে বেগ এবং শক্তি বাড়ানোর জন্য মহাকাশযানের অনবোর্ড ইঞ্জিনগুলিকে ফায়ার করে এক কক্ষপথ থেকে অন্য পথে পাঠাবে।
এবার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় চন্দ্রযান-৩ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণের ৯০০ সেকেন্ডের পর মহাকাশযান সবথেকে রকেট এলএমভি-৩ থেকে আলাদা হয়ে যায়। চন্দ্রযান ৩-এর বেগ বাড়ানোর জন্য ধীরে ধীরে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টান বাঁচিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথ-উত্থাপনের কৌশলগুলি প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। মহাকাশযানটি একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে। ট্রান্স-লুনার ইনজেকশন নামে পরিচিত অরবিটাল ম্যানুভারের একটি সিরিজ সঞ্চালন করবে এই চন্দ্রযানকে। ধীরে ধীরে বেগ এবং শক্তি বাড়ানোর জন্য মহাকাশযানের অনবোর্ড ইঞ্জিনগুলিকে ফায়ার করে এক কক্ষপথ থেকে অন্য পথে পাঠাবে।
ইসরো জানিয়েছে, মহাকাশযানটি ৫ অগাস্ট চন্দ্রের কক্ষপথে পৌঁছাবে। একবার মহাকাশযানটি চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রে প্রবেশ করলে ধীরে ধীরে তার উচ্চতা কমাতে শুরু করবে। এবং দের চারপাশে একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রবেশ করার জন্য কক্ষপথ-হ্রাসকারী কৌশল প্রয়োগ করা হবে তখন। ইসরো ঘোষণা করেছে, চাঁদে অবতরণের সম্ভাব্য তারিখ ২৩ অগাস্ট।