শেষ রক্ষা হল না চাল চুরির দায়ে অভিযুক্ত বরিশালের বাবুগঞ্জের ক্ষমতাধর ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলমের। তাকেসহ বরিশাল বিভাগের ৭ জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নূরে আলমের দুই সহযোগি মেম্বর চাল চুরির অভিযোগে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
ত্রাণ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩ এপ্রিল বহিস্কারের পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বরখাস্তকৃতরা হলেন, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম বেপারি, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান খান, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনির রহমান মৃধা।
আর বরখাস্তকৃত দুই ইউপি সদস্য হলেন, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মহিউদ্দিন সোহেল এবং একই উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. লিপি বেগম।
গত ১৬ এপ্রিল রাতে র্যাব-৮ সদস্যরা বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল ওজনে কম দেয়ার সময় দুই ইউপি সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেন তারা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুজিত হাওলাদার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের দু’জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম করাদণ্ড দেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম আত্মগোপনে চলে যান। এরপর নিজেকে রক্ষায় ব্যাপক তদবির শুরু করেন। তার সাজা না হওয়ায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। চাল চুরির অপবাদ নিয়ে তাকে বরখাস্ত হতেই হল।