চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে মহামারি আকার ধারণ করেছে কোভিড-১৯। অথচ শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে দ্রুত চীনকে পেছনে ফেলে দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ফ্রান্স। চীনের তথ্য নিয়ে সবাই সন্দিহান থাকলেও বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন। এরই মধ্যে একদিনে নতুন আরও ১২৯০ জনের মৃত্যুর খবর দেয় দেশটি, যা আগে যোগ করা হয়নি।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
একদিন আগেও চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা তিন হাজারের ঘরে ছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার নতুন করে আরও ১২৯০ জনের মৃত্যুর খবর জানালো চীন। সংশোধিত এ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৬ জন। দেশটিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগী মোট ৮২ হাজার ৬৯২ জন।
নতুন যোগ করা মৃত ব্যক্তিদের সবাই উহানের এবং বেশ কয়েকটি কারণে এটি প্রকাশ করতে দেরি হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়। প্রথম কারণ হলো, প্রাদুর্ভাবের সময় হাসপাতালে অতিরিক্ত ভিড় থাকায় অনেক রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি বা হাসপাতালে ভাইরাস পরীক্ষা করাননি এবং বাড়িতেই মারা গেছেন।
দ্বিতীয়ত, মহামারির সময় স্বাস্থ্যকর্মী ও সংস্থাগুলো রোগীদের চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় তথ্য বিলম্বিত এবং অসম্পূর্ণ ছিল। বেসরকারি হাসপাতালসহ পৌরসভা ও জেলা পর্যায়ের সংস্থাগুলো রোগীদের তথ্য কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কে যথা সময়ে দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতেও কিছুদিন আগে এভাবে মৃত্যুসংখ্যা সংশোধন করা হয়েছিল। আগে উল্লেখিত মৃতের সংখ্যায় তারা আরও ৩ হাজার ৭শ’ যোগ করে, যারা ভাইরাস পরীক্ষার আগেই বাড়িতে মারা গেছেন।
তবে চীনের যোগ করা সংখ্যায় এটিই প্রমাণ হয় দেশটির তথ্য নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহমূলক অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন নয়। এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে বলেছে চীন।