করোনাভাইরাস নিয়ে রেহাই নেই চীনের। নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা জানা যাচ্ছে। ৩৬ জন নতুন করে আক্রান্ত।
যে ৩৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ২৯ জন উপসর্গবিহীনভাবেই সংক্রমিত। নতুন সংক্রমণের বেশিরভাগই উহান প্রদেশের। যেখানে ৬৫ লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সাতটি নতুন ঘটনা সামনে এসেছে। এদের মধ্যে পাঁচটি ইনার মঙ্গোলিয়া অটোনমাস রিজিয়ন এবং সাংহাইতে একটি এবং ফুজিয়ানে একটি ঘটনা সামনে এসেছে।
সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনও মৃত্যু হয়নি। তখনই জানানো হয়েছে, দেশে মোট ৪০৩টি উপসর্গবিহীন ঘটনা এবং ২৮টি ওভারসিজ ঘটনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
উহান শহরে ২৬টি নতুন উপসর্গবিহীন ঘটনার কথা সামনে এনেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমিশন। এমন ঘটনার প্রায় ৩৩৪ জন মেডিক্যাল পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
নভেল করোনাভাইরাসের শনাক্তকরণে মে মাসের ১৪ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ অবধি ১১.২ মিনিয়ন জনসংখ্যার শহরে ৬.৫ মিলিয়নের বেশি মানুষের নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষা করা হয়েছে, এমন তথ্যই দিয়েছে চিনের কর্তৃপক্ষ।
সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, ৮২,৯৯২ করোনা আক্রান্তের বিষয় এখনও অবধি জানা গিয়েছে মেন ল্যান্ডে পাশাপাশি, ৪,৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র : কলকাতা 24X7
উল্লেখ্য, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে এই ধরনের মারণ ভাইরাস নিয়ে গবেষণা হয়। সেই গবেষণাগার থেকে লিক হয়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, ইতিমধ্যেই এমন অভিযোগ তুলেছে আমেরিকাসহ একাধিক দেশ।
এই অবস্থায় চীন অবশ্য বারবার ব্যাখ্যা দিয়েছে যে গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েনি। এবার ওই ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর সামনে আনলেন নতুন ব্যাখ্যা। জানালেন সত্যিই ওই ল্যাবরেটরিতে ছিল বাদুড় থেকে পাওয়া তিনটি জীবন্ত করোনাভাইরাস। কিন্তু সে গুলির সাথে কোভিড-১৯ কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।
ঠিক এক মাস পর আবারও ফিরে এল সেই অভিশাপ। ৩৭ দিন পর আবার নতুন করে আক্রান্তের খবরে আতঙ্কিত উহানবাসী। আক্রান্ত এক ব্যক্তির অবস্থা সঙ্কটজনক। তার স্ত্রী’ও করোনা আক্রান্ত, তবে তার কোনও উপসর্গ নেই।
গত ৩ এপ্রিল শেষবার করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল উহানে। এরপর থেকে একরকম করোনা মুক্ত হয়ে গিয়েছিল উহান। কিন্তু এবার ফের আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ায় আতঙ্ক বাড়ল।