কাগজ প্রতিবেদক
সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ময়মনসিংহে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর বর্ণিল শোভাযাত্রা হচ্ছে না। তবে ধর্মীয় আচারের মাধ্যমে পালন করা হবে। আয়োজনের ব্যয় সংকোচন করে বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত নেন সানতনী নেতারা। গতকাল শনিবার ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক পীযুষ কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর দুর্গাবাড়ি মন্দিরে আয়োজিত সভায় মন্দিরসহ ৪০ টি ধর্মীয় সংগঠনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি সঞ্চালনা করেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব শংকর সাহা। যৌথ সভায় আগামী ২৬ আগস্ট শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা পরিহার করে শোভাযাত্রার ব্যয় এবং আরো কিছু অর্থ যুক্ত করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব শংকর সাহা বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের জন্মাষ্টমীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হবে না, তবে অন্যান্য ধর্মীয় আচারের মাধ্যমে জন্মাষ্টমী পালন করা হবে। ময়মনসিংহের সনাতনীরা অসহায় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বছর শোভাযাত্রায় দেড় লাখ টাকার মতো ব্যায় হয়েছিল সঙ্গে আরও অনুদান যুক্ত করে তাদের সাহায্য করা হবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বিকাশ রায়, মহানগর সভাপতি প্রশান্ত দাস চন্দন, সাধারণ সম্পাদক পবিত্র রঞ্জন রায়, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট তপন দে, হিন্দু ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সুপ্রিয় বনিক, ইসকনের অধ্যক্ষ অকিঞ্চন গৌড় দাস, গীতা পরিষদের সভাপতি রঞ্জিত ঘোষ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক সজীব সরকার রুপন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির দপ্তর সম্পাদক জয় কুমার দে, জগন্নাথ মন্দিরের পরিচালক বিশ্বরূপ কৃষ্ণ দাস, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রবীর মজুমদার চন্দন, হিন্দু জাগরণী মঞ্চের সমন্বয়কারী শ্যামল পাল, পুরোহিত সংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কেশব চক্রবর্তী, লোকনাথ চৈতন্য সংঘের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রায় চৌধুরী, আমলাপাড়া মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাস, আঠারবাড়ি বিল্ডিং মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ, নয়াপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জ্যোতির্ময় সাহা, রঘুনাথ জিও আখরার সহ-সভাপতি অসিত কুমার মজুমদার, কাটাখালি বিন পাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাজন বিন প্রমুখ। ##