করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জরুরি বিষয়ে শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে অনলাইনে এক বা একাধিক হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে ই-মেইলযোগে প্রধান বিচারপতির কাছে এ আবেদন করা হয় বলে আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো: আব্দুল হালিম রোববার সাংবাদিকদের জানান।
এ বিষয়ে আইনজীবী আব্দুল হালিম বলেন, ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠিয়েছি। করোনা বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির আরজি জানানো হয়েছে। এ চিঠিটি আবেদন হিসেবে গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি একটি বেঞ্চ গঠন করে দিতে পারেন। যে বেঞ্চ অনলাইনে আদেশ দিতে পারেন। চাইলে আমরাও স্কাইপ বা অনলাইনের যে কেনো মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারবো।
চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি) পক্ষে চেয়ারম্যান আইনজীবী ব্যারিস্টার মো: আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেহেতু দেশে কোন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি সেহেতু স্বল্প পরিসরে হলেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া জরুরি। কেননা, বাংলাদেশ সংবিধানে দেশের নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকার এসব অধিকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সংবিধান অনুসারে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দেশের উচ্চ আদালতসমূহ একেবারেই বন্ধ থাকায় নাগরিকরা তাদের অধিকার বঞ্চিত হলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই করোনা সংক্রমণের মধ্যেও সাংবিধানিক বিবেচনায় অনলাইনের মাধ্যমে হাইকোর্টের এক বা একাধিক বেঞ্চ পরিচালনার অনুরোধ করা হয়।
আবেদনে করোনা বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির আরজি জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই চিঠিটি আবেদন (রিট পিটিশন) হিসেবে গ্রহণ করার সুযোগ আছে বলেও আইনি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাদ্যপণ্য, ত্রাণ বিতরণের জন্য হাইকোর্টকে আদেশ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া, টিসিবি এবং ওএমএসের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশ প্রদান, সড়কে ভিড় না জমানোর জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ, ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য মেডিক্যাল কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা, পিপিই সরবরাহ, অ্যাম্বুলেন্স, যানবাহন ও আবাসিক আইসোলেশন সুবিধা প্রদান করার নির্দেশ চাওয়া হয়েছে সেখানে।