‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার’, তারুণ্যের এই মহা শ্লোগানকে সামনে রেখে জয়পুরহাটে করোনাযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন আরো ৪০ জন তরুণ।
তাই এই তরুণরা করোনা নির্মূলের উদ্দেশ্য নিয়ে জেলার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন, গণপরিবহন, হাট-বাজার, জনসমাগমস্থল, কল-কারখানা ও জেলার সব ক’টি প্রবেশ মুখে জীবানু নাশক স্প্রে করা ছাড়াও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে করোনা কালীন সময় পর্যন্ত মাঠে থাকার অঙ্গীকার করেন।
এই উদ্যোমী তরুণরা জানান, এই করোনা মহামারির সময়ে সামজিক দূরত্ব না মানার প্রবণতা, গণ-পরিবহনসহ সাধারণের বেসামাল চলাফেরাসহ জন সমাগম বাড়তে থাকায় দিনদিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই জন্য করোনা নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও শহরের বিভিন্ন জায়গা জীবাণু মুক্ত করতে কাজ করবেন তারা।
জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকার এই তরুণরা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকাল পার করছেন। করোনাভাইরাসে গৃহবন্ধী না থেকে এই মরন ব্যাধির বিরুদ্ধে সচেতনদের মাঠে থাকারও আহবান জানান এই তরুণ যোদ্ধারা।
এই করেনা যোদ্ধাদের নেতা জয়পুরহাট সদরের কড়ই গ্রামের আতাউর রহমান জানান, করোনা যোদ্ধাদের কার্যক্রমের মনিটরিং করছেন জয়পুরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর আশরাফুল আলম প্রিন্স ও তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য চিকিৎসা সেবাসহ সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন ডা. শাহেদুল ইসলাম।
এ ছাড়া অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের, তেমন কোন সাংগঠনিক বা দলীয় কোন পরিচয় না থাকলেও তারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়ণ করছেন বলেও জানান দল নেতা আতাউর।