করোনার কারণে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। শ্রমিকের অভাবে ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না চাষিরা। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এ উপজেলায় কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকের স্বার্থ ও পণ্য পরিবহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। এখন ধান, গম, ভুট্টা, লাউসহ বিভিন্ন জাতের সবজি মাঠে। পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে কৃষকের ক্ষতি কিছুটা হলেও কমানো যাবে বলে মনে করেন কৃষকরা।
বোরো মৌসুম হওয়ায় ধানি জমিতে সেচ ও পরিচর্যা প্রয়োজন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। প্রতি মৌসুমে বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা খেতমজুর হিসেবে এ অঞ্চলে আসেন। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে শ্রমিকরা গৃহবন্দি হয়ে পড়ায় আসতে পারেননি। ফলে সবজি ক্ষেত থেকে তোলা এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তত করা সম্ভব হচ্ছে না।
উৎপাদিত সবজি নষ্ট হচ্ছে খেতেই। কৃষি নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। কষ্ট করে মালামাল পাঠানোর পর চালকরা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকায় সমস্যা হচ্ছে ও বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে মালামাল পরিবহণে।
সম্প্রতি করোনার প্রভাবে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় কাঁচামাল বহনে বাধা না থাকলেও ক্রেতার অভাবে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পণ্য বাজারজাতকরণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায়।