১৭ জুলাই, ২০২৩, কাগজ ডেস্ক
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্ব আর সম্ভাব্য প্রজননস্থলের সংখ্যা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, এবারের পরিস্থিতি ২০১৯ সালের চেয়েও খারাপ। গত মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাতজনের।
এই পরিসংখ্যান মনে শঙ্কা জাগানোর মতো। আরেকটি শঙ্কার বিষয় হলো, কেউ কেউ দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বার আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের শরীরে এমন সব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, যা ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গের সঙ্গে মিলছে না। শুধু বমি হচ্ছে, জ্বর নেই।
এমন ক্ষেত্রে টেস্ট করেও ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। কেউ কেউ আবার দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত এই ডায়রিয়া চলছেই। কিছুতেই থামছে না।
বুকে পানি জমছে।
প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে পেটে। বমি, মাথা ধরা, খিঁচুনি, দুর্বলতা, হাত-পা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরো গুরুতর হতে পারে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের দিকে। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের কারণে অবস্থা আরো শোচনীয় হচ্ছে।
আগে শুধু পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়লেও এখন সব পানিতেই ডিম পাড়ছে মশা। এখন শুধু দিনে নয়, রাতেও কামড়াচ্ছে। এবারে যেসব উপসর্গ দেখা দিচ্ছে- * ডায়রিয়া * জ্বর না থাকা * বমি না থামা * রক্তচাপ কমে যাওয়া * অসহ্য পেট ব্যথা * মস্তিষ্কে প্রদাহ * হাত-পা ফুলে যাওয়া
এক এক করে বা একসঙ্গে উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে। কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে যেতে হবে।
করণীয়- জ্বর হলে বসে থাকা যাবে না। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। আর তা না হলে টেস্ট করাতে হবে। সব সময় মশারি টানাতে হবে। পরতে হবে ফুলহাতা কাপড়। বাড়ির আশপাশে পানি যাতে না জমে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। গাড়ির গ্যারেজ আর বহুতল ভবন হলো লার্ভার মূল আবাসস্থল।
এ ছাড়া মশারি ব্যবহার না করা, জমে থাকা পানি পরিষ্কার না করার মতো অসচেতনতাও ডেঙ্গু বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।