1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গৌরীপুরে ১৮শ পিস ইয়াবাসহ জামাই-শ্বশুর গ্রেফতার গৌরীপুরে শতবর্ষী মসজিদের নতুন অসমাপ্ত ভবনের উদ্বোধন গৌরীপুরে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক পরিষদের উদ্যোগে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ইসরাইলি পণ্য বর্জনের স্লোগান দিয়ে দোকানে দোকানে লুট, গাড়ি ভাঙচুর গৌরীপুর আন্তঃব্যাচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের লটারি গৌরীপুরে আকিজের সেলসম্যানের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন ও টাকা ছিনতাই, প্রতিবাদে মানববন্ধন গৌরীপুর মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক পরিষদ’র আহ্বায়ক সুমন, সদস্য সচিব মোখলেছুর গৌরীপুরে চার বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার এ বছর ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান

ঢাকায় গুলিতে নিহত ফুলপুরের আনারুল ১০ দিন পর লাশ পেয়ে স্তব্ধ পরিবার

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৩৪ Time View

কাগজ প্রতিবেদক, ফুলপুর

ঢাকার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ৪ আগস্ট মিছিল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন ফুলপুরের আনারুল ইসলাম (৩০)। তিনি উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের ঘোমগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

নিখোঁজের ১০ দিন পর ১৪ আগস্ট তার লাশের সন্ধান পান পরিবার। লাশ বাড়ি আনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা-বাবা শোকে স্তব্ধ হয়ে আছেন।

নিহতের পিতা রফিকুল ইসলাম জানান, আনারুল ইসলামকে নিয়ে ঢাকার হাউজ বিল্ডিং এলাকার ৮নং রোডের ফুটপাতে সবজির ব্যবসা করতাম। কাছেই একটি বাসায় ভাড়ায় থাকতাম। পিতাপুত্র একত্রে দোকান চালাতাম। মাঝে মধ্যে আনারুল ভাড়ায় অটোরিকশাও চালাত। এভাবেই চলছিল সংসার।

৪ আগস্ট আনারুল হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছিলাম। ১৩ আগস্ট রাতে ফুলপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পাই। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সন্ধান পেয়েছি।

পরে জানতে পারি হাউজ বিল্ডিং ৬নং রোডে মিছিল করার সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিল। লোকজন কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ৪ দিন চিকিৎসার পর মৃত্যু হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ প্রেরণ করে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্ত হলে আমাদের জানানো হয়। আনারুল ইসলামের মাথায় দুটি গুলিবিদ্ধের ক্ষত ছিল। ছোট তিন মেয়ে এক ছেলের সংসার। ছেলের মৃত্যুতে সংসার চালাতে সাহায্যের হাত শেষ হয়ে গেছে।

আমার বৃদ্ধ বয়সে ভবিষ্যৎ চলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দেড় বছর আগে এক এতিম মেয়েকে বিয়ে করিয়েছিলাম। সেও আজ বিধবা হয়ে গেছে। অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে শত শত ছাত্র জনতার মৃত্যু হয়েছে। খুনি সরকারের পতন হওয়ায় ছেলের মৃত্যুতে কোনো কষ্ট নেই।

সরকারের কাছে আন্দোলনে নিহতদের শহিদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

মা আনোয়ারা বেগম জানান, শত কিছু করেও ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে না। দেশের জন্য ছেলে জীবন দিছে। আমরা তার মর্যাদা চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark