বরগুনার তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের স্বামী মো: আক্কাস হাওলাদার ও তার স্ত্রী পারুল বেগমকে নিজ ভাইয়ের ছেলে রাসেল হাওলাদার ও রাজিব হাওলাদার পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, উপজেলার কলারং গ্রামের মজিবর হাওলাদার ও তার ভাই আক্কাস হাওলাদারের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এদিন দুপুরে ওই জমির সীমানায় মাটি কাটতে যায় আক্কাস হাওলাদার। এ সময় মজিবর হাওলাদারের দুই ছেলে রাসেল হাওলাদার, রাজিব হাওলাদার ও স্ত্রী পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেনু বেগম এতে বাধা দেন। এ সময় চাচা আক্কাস হাওলাদালারের সাথে ভাতিজারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই ভাতিজা চাচাকে বেধড়ক মারধর করেন। স্বামীকে রক্ষায় স্ত্রী পারুল বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারধর করেন তারা। ভাইয়ের ছেলেদের মারধরে স্বামী-স্ত্রী গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত আক্কাস হাওলাদার বলেন, আমার জমি বড় ভাই মজিবুর হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে আমার জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। আমি আমার জমিতে মাটি কাটতে গেলে ভাইয়ের ছেলেরা ও তাদের মা ইউপি সদস্য রেনু বেগম আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বড় ভাই মো: মজিবর হাওলাদার জমির সীমানা বিরোধের কথা স্বীকার করে বলেন, তার দুই ছেলে চাচা ও চাচীকে মারধর করেছে। এর উপযুক্ত বিচার করা হবে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলহাজ্ব মো: হারুন অর রশিদ বলেন, আহত স্বামী-স্ত্রীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। স্বামী আক্কাস হাওলাদারের নাকসহ তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তালতলী থানার ওসি মো: কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এ বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।