1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গৌরীপুরে কৃষক হত্যার ঘটনায় মামলা গৌরীপুরে ১৮শ পিস ইয়াবাসহ জামাই-শ্বশুর গ্রেফতার গৌরীপুরে শতবর্ষী মসজিদের নতুন অসমাপ্ত ভবনের উদ্বোধন গৌরীপুরে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক পরিষদের উদ্যোগে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ইসরাইলি পণ্য বর্জনের স্লোগান দিয়ে দোকানে দোকানে লুট, গাড়ি ভাঙচুর গৌরীপুর আন্তঃব্যাচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের লটারি গৌরীপুরে আকিজের সেলসম্যানের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন ও টাকা ছিনতাই, প্রতিবাদে মানববন্ধন গৌরীপুর মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক পরিষদ’র আহ্বায়ক সুমন, সদস্য সচিব মোখলেছুর গৌরীপুরে চার বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার এ বছর ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ

তিস্তার পানি কমলেও রংপুরের ৮০০ পরিবার পানিবন্দি

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২২ জুন, ২০২০
  • ৩৪৫ Time View

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে আসা তিস্তায় পানি কমতে শুরু করেছে। রোববার সকাল ৯টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় ১৩ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ৮০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ওইসব এলাকার ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে।

গঙ্গাচড়ার চরাঞ্চলে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে গঙ্গাচড়ার সাতটি ইউনিয়নের তিস্তার ১৫টি চরে বসবাসকারী প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নে বিনবিনা এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাকা সড়ক পড়েছে হুমকির মুখে। বিভিন্ন চরে সবজি, ভুট্টা ও বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু বলেন, বিনবিনা এলাকায় ১০০ পরিবার পানিবন্দি। এছাড়া চর চিলাখাল চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। একটি রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। এতে আরও কয়েকশ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, তার ইউনিয়নের শংকরদহ, ইচলী ও বাগেরহাট এলাকায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কাউনিয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে বালাপাড়া, টেপামধুপুর, শহীদ বাগ ও নাজিরদহ। এসব ইউনিয়নের প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

কাউনিয়া উপজেলা পরিষদেও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঢুসমারা চরে কয়েকশ মানুষ এখন রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া উপজেলায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কমপক্ষে ৪০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।

এদিকে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব গ্রামের কমপক্ষে ১০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

ছাওলা ইউপি চেয়ার শাহ আব্দুল হাকিম জানান, পানি এখন অনেকটা কমে গেছে। তার পরেও দুটি ইউনিয়নের কয়েক’শ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া আলম বলেন, সকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark