বকেয়া বিদ্যুৎবিল আদায়সহ ত্রুটিপূর্ণ বিল দ্রুত সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনের চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ৪ মাস ( ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে) মাসের বিদ্যুৎবিল সারচার্জ ছাড়া ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বকেয়া বিল আদায় করতে যেসেব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা হলো- কয়েক মাসের ইউনিট একত্র করে একসঙ্গে বেশি ইউনিটের বিল না করা, প্রতি মাসের পৃথক পৃথক বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা, একসঙ্গে অধিক ইউনিটের বিল করে উচ্চ ট্যারিফ চার্জ না করা, ত্রুটিপূর্ণ বা বাড়তি বিল দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা করা। মে মাসের বিদ্যুৎ বিল (যা জুন মাসে তৈরি হচ্ছে) মিটার দেখে সঠিকভাবে প্রস্তুত করাসহ মোবাইল, বিকাশ, জি-পে, রবিক্যাশ, অনলাইনে ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ২৭টি গাসক্ষেত্রের মধ্যে বর্তমানে ২০টি থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হবে। বাকি ৪টি গ্যাসক্ষেত্রের সীমিত গ্যাস মজুত, কমার্শিয়াল ভায়াবিলিটি, আইনগত জটিলতা ইত্যাদি বিবেচনায় গ্যাস উত্তোলনের বিষয়টি পুনঃমূল্যায়ন প্রয়োজন।