জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক লাখ ২ হাজার ৭৫৩জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। সেখানে মারা গেছেন ১৮ হাজার ৮৪৯জন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান, যেখানে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৮৭৫জন। স্পেনে মারা গেছেন ১৬ হাজার ৮১জন।
ফ্রান্সে মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৯৭ জন। তারপরেই যুক্তরাজ্যর অবস্থান। সেখানে মারা গেছেন ৮ হাজার ৯৫৮জন।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৯ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন নিশ্চিত রোগী রয়েছেন পাঁচ লাখ এক হাজার ৩০১ জন। এরপরেই রয়েছে স্পেন। সেখানে এক লাখ ৫৮ হাজার ২৭৩ জন আক্রান্ত রয়েছেন।
ইতালিতে এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন, ফ্রান্সে এক লাখ ২৫ হাজার ৯৩১ জন এবং জার্মানি এক লাখ ২২ হাজার ১৭১জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৪ জন।
সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৯জন।
করোনাভাইরাসের নতুন বিস্তারের ঝুঁকি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশ্বের দেশগুলো যদি সামাজিক দূরত্বের কড়াকড়ি খুব তাড়াতাড়ি তুলে নেয়, তাহলে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বিস্তার ঘটতে পারে।
তিনি বলছেন, মানুষের জীবনযাপনের ওপর থেকে কড়াকড়ি তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে দেশগুলোকে পর্যায়ক্রমে আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশল নিতে হবে।
টেড্রোস বলছেন, অন্য সবার মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও কড়াকড়ির অবসান চায়।
”কিন্তু একই সময়ে এটাও মনে রাখতে হবে, খুব তাড়াতাড়ি এসব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলে ভাইরাসের আবার ভয়াবহ বিস্তার দেখা দেবে। তখন হয়তো এতোটাই ভয়াবহ হবে যে, আর সামলানো যাবে না।”
তিনি এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেনের মতো সবচেয়ে আক্রান্ত কয়েকটি দেশ বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা ভাবছে। বিবিসি।