নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ইতালিপ্রবাসীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীরও করোনা পজিটিভ এসেছে।তবে ওই নারীর শরীরে কোনো উপসর্গ না থাকায় তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার পরিবারের ১৯ জন সদস্যের।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাইনুল ইসলাম।তিনি আরো বলেন করোনা আক্রান্ত ওই নারী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।তার বাড়িতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মোবাইল টিম কাজ করছে। ওই নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতালিপ্রবাসী ওই ব্যক্তির (৪৫) নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ওই প্রবাসীকে চিকিৎসা দেয়া নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। বিশেষ লকডাউন করা হয় সোনাপুর ইউনিয়নকে।ইতালিপ্রবাসী ওই ব্যক্তি নভেম্বর মাসে দেশে ফিরেন। কিছুদিন আগে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বাড়িতে চিকিৎসা চলে। গত বুধবার বিকালে অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মোমিনুর রহমান জানান, নিহতের লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। শনিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ওই প্রবাসীর পরিবারের ২৯ সদস্যকে সোনাইমুড়ি অন্ধ কল্যাণ সমিতি চক্ষু হাসপাতালে স্থানান্তর করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিার বাড়িটি লকডাউন করে লাল পতাকা উত্তোলন করে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন।