করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এখনও বিশ্বের লড়াই অব্যাহত। এ এক এমন ভাইরাস, যার রূপের পরিবর্তন ধাঁধায় ফেলছে গবেষকদের। তাই কোভিড-১৯ ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে একটি নিরাপদ, কার্যকরী এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় এমন ভ্যাকসিন তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন গবেষকরা। এবার সেই প্রেক্ষিতে নিশ্চিত সুর শোনা গেল চীনের এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সাইনোভ্যাক বায়োটেকের গলায়।
চীনা সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে এখনো এই ভ্যাকসিনকে অ্যাক্টিভেট করা হয়নি। কিন্তু তারা এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা নিয়ে একেবারে ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত।
সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ রিপোর্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সাইনোভ্যাকের এক গবেষক লুও বাইশান বলেন , “এটি সাফল্য লাভ করবেই। আমরা ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত।”
সংস্থার তরফে এও জানান হয় যে এই মুহুর্তে দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল চলছে। ১০০০ জন স্বেচ্ছাসেবকদের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
গত মাসে বিজ্ঞান অ্যাকাডেমিক জার্নালের এক প্রতিবেদনে সাইনোভ্যাক সংস্থা বলে যে বানরের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ভ্যাকসিন বানরকে করোনভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিল।
উল্লেখ্য এই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এবং সাইনোভ্যাকের গবেষণা ও উন্নয়নে সহযোগিতা করতে বেসরকারী ইক্যুইটি ফার্ম অ্যাডভানটেক ক্যাপিটাল এবং ভিভো ক্যাপিটাল ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা সাহায্য করেছে। এমনকি করোনভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরির জন্য একটি বৃহৎ কারখানাও দেওয়া হয়েছে সাইনোভ্যাককে।
এদিকে করোনাভাইরাসকে রুখতে পিছিয়ে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরাও। আমেরিকার সংস্থা মডার্না সম্প্রতি জানিয়েছে যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ৬০০ জন রোগীকে নিয়ে একটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে। তাদের এই পদক্ষেপই বুঝিয়ে দিচ্ছে ইতোমধ্যেই তারা এমআরএন-এ ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে প্রাথমিক সুরক্ষার বাঁধা পেরিয়ে গিয়েছে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জুলাই মাসের শেষের দিকে এই ভ্যাকসিন ট্রায়াল করবে মডার্না। একটি প্রেস বিবৃতিতে মর্ডানা জানায় যে প্রতিটি বয়সের একজন করে অংশগ্রহণকারী নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এই মাসের শুরুর দিকে প্রাথমিক পর্যায়ের যে তথ্য প্রকাশ করেছিল মডার্না, সেখানে দেখা যায় যে ভ্যাকসিনটি সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে সফলভাবে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। তবে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা গিয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস