কাগজ ডেস্ক :
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট বুধবার গভীর রাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন।
এখন দেশটিতে তিন দিনের মধ্যে অন্তর্বতী সরকার গঠন করতে হবে। সে প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ছাড়াই নির্বাচনের তোড়জোড় চলবে। কারণ, তোশাখানা মামলায় দেশটির আদালত তাকে তিনবছরের কারাদন্ড দিয়েছে। এছাড়া রাজনীতিতে তাকে পাঁচবছরের জন্যে নিষিদ্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
গত বছর এপ্রিলে সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন।
আগামী তিন দিনের মধ্যে অন্তবর্তী সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার কথা রয়েছে।
তবে বিদায়ী সরকার সতর্ক করে বলেছে, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন নাও হতে পারে। এটি আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জনশুমারির ভিত্তিতে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসে নির্বাচন কমিশনের আরো চার মাস সময় লাগতে পারে। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম দাবি এই আসন পুনর্বিন্যাস।
তবে সাউথ এশিয়া ইন্সষ্টিটিউট উইলসন সেন্টারের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, নির্বাচনের যে কোন বিলম্বের কারনে লাভবান হবে মূল অংশীদার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নেওয়াজ(পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। কারণ, তারা তখন খানের পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টিকে মোকাবেলা করার সময় পাবে।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনে বিলম্ব জনগণকে আরো ক্ষুব্ধ করে তুলবে।