বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আব্দুল মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হলে বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাজেদকে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় এই মামলায় তাকে গ্রেফতার না দেখানো পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করা হয়েছিল গ্রেফতারকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজমের পক্ষ থেকে। রাষ্ট্রপক্ষে আবেদনের বিষয়ে শুনানিতে আমরা বলেছি, এই আসামি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি। তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার দণ্ড উচ্চ আদালতে বহাল রয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার না দেখানো পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখা হোক। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আসামি মাজেদকে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে খণ্ড নথি দণ্ড প্রদানকারী আদালতে (ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত) পাঠানোর আদেশ হয়েছে। সেই আদালত থেকেই তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে সিএমএম আদালতের হাজতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মাজেদকে আদালতে নেওয়া হয়।
মাজেদকে গ্রেফতারের বিষয়টি সকালে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি জানান, সোমবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আব্দুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা। আব্দুল মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন পাঁচজন। পলাতক আসামিরারা হলেন খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তারা বিভিন্ন দেশে পলাতক পালিয়ে আছেন।