আফ্রিকার বতসোয়ানায় গত তিন মাসে সাড়ে তিনশর বেশি হাতির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তারা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ৩৬০টির বেশি হাতির মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউয়ের পরিচালক নিয়াল ম্যাকক্যান জানান, কিছু মৃতদেহ দেখা গেছে জলাধারের পাশে। আবার কোনও হাতি মৃত অবস্থায় ‘মুখ থুবড়ে পড়ে আছে’।
জীবিত হাতিগুলো ছিল শারীরিকভাবে দুর্বল, কেউ বা চক্রাকারে হাঁটছে। দিক পাল্টাতে পারছে না কেউ কেউ। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এসব। হাতি ছাড়া এলাকার অন্য কোনও প্রাণীর ক্ষতি হয়নি।
মৃত হাতিগুলোর নমুনা পরীক্ষা করছে বতসোয়ানা সরকার, কিন্তু এখনও মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি।
ম্যাকক্যান বলেছেন, মে মাসের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটির ওকাভাঙ্গো ব-দ্বীপে সাড়ে তিন শতাধিক হাতির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। রহস্যজনক কারণে আগে কখনও এত হাতির মৃত্যু দেখেননি বলে জানালেন এই কর্মকর্তা, ‘এটা ভয়াবহ। আমাদের জানতে হবে আসলে কী হচ্ছে।’
১ লাখ ৩০ হাজার হাতির বাসস্থান বতসোয়ানা, আফ্রিকা মহাদেশের এক তৃতীয়াংশ হাতি রয়েছে এখানে। যে ওকাভাঙ্গো ব-দ্বীপে শত শত হাতির মৃতদেহ দেখা গেছে, সেখানেই দেশের ১০ শতাংশ হাতি রয়েছে বললেন ম্যাকক্যান।
২০১৪ সালে আরোপ করা হাতি শিকারের নিষেধাজ্ঞা গত বছর তুলে নেয় বতসোয়ানা সরকার। তবে কোনও চোরাশিকারির হাতে প্রাণ যায়নি এর প্রমাণ হাতিগুলোর দাঁত কাটা ছিল না। বিষক্রিয়া কিংবা স্নায়ুবিক প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যার কারণে মৃত্যু হতে পারে মনে করছেন ম্যাকক্যান।
আরেকটি সম্ভাবনার কথা জানালেন এই কর্মকর্তা- কোভিড-১৯। সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন প্রাণীদেরও আক্রান্তের খবর মিলছে। ম্যাকক্যান বলেছেন, ‘এটি পরিবেশগত বিপর্যয়, একসময় এটি জনস্বাস্থ্য সংকটেরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’