কামরুন নাহার
প্রধান শিক্ষক, মধ্য বাড়েরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, ময়মনসিংহ :
শিক্ষাকে বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী করার জন্য বহু ধরনের পদ্ধতি ও কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা হল মনস্তাত্ত্বিক ও বিজ্ঞান সম্মতভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা। তাই একজন শিশুকে পরিপূর্ণরূপে, সামাজিক, মানসিকভাবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে শিক্ষিত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা হতে শিক্ষার অন্যান্য স্তরের তুলনায় সহজ, রুচিসম্মত, বাস্তবতার নিরিখে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশের সাথে হবে সঙ্গতিপূর্ণ। বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট শিক্ষার ব্যবস্থায় রূপান্তর করা। শিক্ষাকে আনন্দদায়ক শিক্ষায় রূপান্তরের জন্য প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশনে নেতৃত্ব দিবে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন উন্নতমানের শিক্ষা পেয়ে স্মার্র্ট সুনাগরিক হতে পারে। যেকোনো জায়গার শিক্ষার্থীর সন্দে শুধু তাল মিলিয়েই চলা নয়, উন্নত প্রযুক্তিটাও যেন সে আয়ও করতে পারে সেই ভাবেই তাদের গড়ে তুলার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বিদ্যালয় গুলোতে। কারণ আগামী দিনের চ্যালে জে মোকাবেলা করতে হলে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
হচ্ছে বই উৎসব। অবকাঠামো ও শিক্ষার মান আগের থেকে বহুগুণ বেড়েছে। নতুন প্রজন্ম হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের মূল সৈনিক। তাই তাদেরকে প্রথমিক থেকেই স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ডিজিটাল প্রযুজির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে না পারলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখা যাবে না। এজন্য নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নাই। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ যেখানে প্রতিটি মানুষের পযুক্তিগত জ্ঞান থাকবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মনোউন্নয়ন এবং শিক্ষর্থী ঝরে পড়া রোধ করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি করা হচ্ছে। মায়ের মোবাইল ফোনে ঢাকা পাঠানো হচ্ছে। একজন মাট শিক অন্তরিকতার সাথে শিক্ষার্থীদের গাইড করলে তারা স্মার্ট হয়ে উঠবে। বাংলাদেশকে একটি দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে স্মার্ট এর নাগরিককে স্মার্ট করে তুলতে হবে।
চিন্তায়, কাজে, হৃদয়ে, সহমর্মিতায়, পরমতসহিঞ্চুতায়, দক্ষতায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মানুষের পাশে দাড়ানো, মানবিকতা ও সততায় স্মার্ট করে তুলতে হবে। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্মার্ট বাংলাদেশের তৈরির বুনিয়াদ হলো প্রাথমিক শিক্ষা।