উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত বৃষ্টিতে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গঙ্গাচড়ার চরাঞ্চলের প্রায় ৭৫০ পরিবার পানিবন্দি। তলিয়ে গেছে আমন বীজতলা, ভুট্টা ও বাদাম ক্ষেত।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা চরে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে চরের একমাত্র পাকা সড়ক। ইতোমধ্যে সড়কটির প্রায় ৬০০ ফুট ভেঙে গেছে। নোহালী ইউনিয়নের কয়েকটি চরে ২০০ পরিবার, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা ও উত্তর কোলকোন্দ বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় ২০০ পরিবার, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, বাঘেরহাট, কলাগাছি চরের ১৫০ পরিবার, মর্নেয়া ইউনিয়নের তালপট্টি চর ও মনের্য়া চরের ১০০ পরিবার, গজগন্টা ইউনিয়নের ছালাপাক ও আশপাশের এলাকায় ৫০ পরিবার এবং গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের গান্নারপাড় ও ধামুর এলাকায় ৫০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে শংকরদহ চরের গতবছর নির্মিত গুচ্ছগ্রামটি ভাঙনের কবলে পড়েছে। ১৫ পরিবারের ঘরবাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়েছে।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর দুর্ভোগ বেড়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনসন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কাউনিয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে বালাপাড়া, টেপামধুপুর, শহীদ বাগ ও নাজিরদহ। এসব ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধিও ফলে কয়েকশত মানুষ রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব গ্রামের কমপক্ষে কয়েকশত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।