বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ‘প্রমাণ’ আসতে শুরু করেছে বলে স্বীকার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের দুই শতাধিক বিজ্ঞানী এক খোলা চিঠিতে এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন হালনাগাদ করার আহ্বান জানানোর পর সংস্থা বিষয়টি স্বীকার করলো।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভীড় বা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে, বদ্ধ বা বাতাস প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা ভালো নয় এমন স্থানে এটি ছড়াতে পারার সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া যায় না।
বিবিসি জানিয়েছে, এ ব্যাপারে প্রমাণ নিশ্চিত হওয়া গেলে, কক্ষের অভ্যন্তরে করোনার বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে গাইড লাইন দিয়েছিল তাতে পরিবর্তন আসতে পারে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশির সময় শ্বাসতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা জলকণা থেকে মূলত এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে। তবে অপেক্ষাকৃত বড় কণাগুলো ভারী হওয়ায় দ্রুত নিচে পড়ে যায়।
তবে খোলা চিঠিতে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বাতাসে ভেসে থাকা অতিক্ষুদ্র ভাইরাসবাহী কণার মাধ্যমেও মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। বাতাসের মাধ্যমে এই সংক্রমণের বিষয়টি এতোদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবমূল্যায়ন করে আসছে।
ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর কেমিস্ট হোসে জিমিনেজ বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম এই প্রমাণগুলোর কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকার করুক। এটা এটা মোটেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর আক্রমণ নয়। এটা বৈজ্ঞানিক বিতর্ক। আমাদের মনে হয়েছে, এটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা উচিৎ, কারণ বহুবার আলোচনা হলেও তারা আমাদের প্রমাণগুলো শুনতে অস্বীকার করে আসছিল।’