হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত তারা। তিনজনই নির্মাণ শ্রমিক। এ ঘটনায় দুটি ইউনিয়নকে প্রশাসনিকভাবে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বানিয়াচং থানার পাঁচজন কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ওই পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হওয়া ওই তিনজন গত শুক্রবার পুলিশের চেকপোস্টে আটক হয়েছিলেন। তারা তিনজন বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছিলেন। শনিবার ওই তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। দুই দিন পর তাদের করোনা পজিটিভ আসে।
প্রশাসন সোমবার দিবাগত মধ্যরাতেই তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করে।
করোনা পজিটিভ হওয়া তিনজনের দু’জন ৩নং দক্ষিন-পূর্ব ইউনিয়নের এবং একজন ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের। এই দুটি ইউনিয়নই লকডাউন করেছে প্রশাসন।
কিন্তু সরে জমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ১নং ইউনিয়নের বড়বাজার ও সারেংবাজার সহ রাস্তাঘাটে অবাধে লোকজন ও পরিবহন চলাচল করছে। টমটম, সিএনজি, মিশুক সহ বিভিন্ন পরিবহনে লোকজনকে গাদাগাদি করে অবাধে চলতে দেখা গেছে।
এছাড়া বড়বাজারের কাঁচা বাজারে বিপুল লোকসমাগমের মাধ্যমে সকালের বাজার সওদা করছে।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্য রঞ্জন কুমার সামন্ত জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বানিয়াচংয়ের ১২ জন শ্রমিককে আটক করে নমুনা সংগ্রহের জন্য থানার পাঁচজন কর্মকর্তা হাসপাতালে নিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনজনের পজেটিভ আসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন সন্দেহে ওই ৫ অফিসারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। দ্রুতই তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুন খন্দকার বলেন, এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি জনগণকে সচেতন হওয়ার জন্যও তিনি আহবান জানিয়েছেন।
এছাড়া এলাকাবাসীকে যানবাহন আটক করে খবর দেয়ার জন্যও তিনি আহবান জানান।