হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আটক হয়েছে সোলায়মান নামের এক ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার। বন্ধ করা হয়েছে ওই ডাক্তরের বাসায় চালু করা করোনা রোগীর দুই শয্যার একটি ক্লিনিক। বৃহস্পতিবার হাটহাজারী পৌরসভার মেখল রোডের নাসরিন ভবনে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়েন এই ভুয়া ডাক্তার।
জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে থেকে তিনি ছিলেন হোমিও চিকিৎসক। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে তিনি সেজেছেন একজন এমবিবিএস ডাক্তার। তাও আবার নিজের পরিচিতিতে যোগ করেছেন স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চ ডিগ্রীধারী ‘অধ্যাপক’, ‘এমবিবিএস’, ‘এমফিল’, ‘পিএইডি’সহ নিউরোলজি ও মেডিসিনের ওপর প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রি। শুধু তাই নয় দেশে করোনা প্রকোপ শুরু হওয়ার পর হাটহাজারী পৌরসভার মেখল রোডের নাসরিন ভবনে নিচতলার ভাড়া বাসায় মোহাম্মদ সোলাইমান চালু করেছেন দুই শয্যার করোনা রোগির ক্লিনিক। অভিযানের সময় ওই ক্লিনিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া দুই জন রোগী পাওয়া গেছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, কথিত ডাক্তার সোলায়মান দীর্ঘদিন ধরে এ অপচিকিৎসা দিয়ে আসছে এমন খবর ছিল আমাদের কাছে। এখনিই তিনি থেমে থাকেননি, গত দেড়মাস ধরে তিনি নিজের বাসায় করোনা রোগীর ক্লিনিকও চালু করেছেন। অভিযানে গিয়ে আমরা করোনা উপসর্গ থাকা দুই জন রোগীর ভর্তি দেখে অবাক হই।
পরে কথিত ডাক্তার সোলায়মানের বয়স, স্বাস্থ্য ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মোচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া দুই রোগীকে অবস্থার অবনতি হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করার উপদেশ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় সঙ্গে ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু সৈয়দ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসাইন।