করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই আগামী ৮ মে থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ জন্য সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটের ৪টি ফ্লাইটের টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে। এ দিকে ১ থেকে ৭ মে পর্যন্ত দিল্লি, মুম্বাই ও কলকাতায় আটকেপড়া বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনতে ৫টি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে বিমান।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৮ মে থেকে স্বল্প পরিসরে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তবে সব রুটে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সংশ্লিষ্ট সবার অনুমোদন সাপেক্ষে ৮ মে থেকে (অভ্যন্তরীণ রুট) বিমান চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে না গেলে ওই তারিখ থেকে চলাচলের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিমানের বলাকা ভবন সূত্রে জানা গেছে, ৮ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে মোট ৪টি ফ্লাইট চলাচলের জন্য শিডিউল তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে প্রতিদিন সকাল এবং বিকেল দু’টি এবং সিলেটে প্রতিদিন সকাল-বিকেল দু’টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। সেই লক্ষ্যে ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
বলাকা ভবনের দায়িত্বশীল একজন জানিয়েছেন, ৮ মে সকাল ৮টায় বিমানের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাবে। অপর দিকে বিকেল ৫টায় অপর একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করবে ৭৪ সিটের কানাডার বোম্বাডিয়ার কোম্পানির ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ। অপর ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে বিকেল ৫টায়। তবে এর আগে গত বুধবার করোনাসহ নানা সঙ্কটের কারণে ১৫ মে পর্যন্ত সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা থাকবে বলে ঘোষণা দেয় বিমান কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে জানতে গতকাল বিমানের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান তাহেরা খন্দকার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি। এ প্রসঙ্গে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, এটা তো তাহলে বিভ্রান্তিমূলক। এক দিকে বলা হচ্ছে ১৫ মে পর্যন্ত বিমানের সব ফ্লাইট বাতিল করা হলো। আবার ৮ মে থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের শিডিউল তৈরি এবং টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এখন দেখা যাক কোনটা সত্য।
এ দিকে বিমান সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে বিমানের (বোয়িং-৭৮৭-৯০০) একটি চার্টার্ড ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা। এ ছাড়া ১ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত বিমান দিল্লি, মুম্বাই ও কলকাতায় ৫টি ফেরি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এসব ফ্লাইট ঢাকা থেকে খালি যাবে। ওই দেশ থেকে আটকেপড়া বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনায় এটা চূড়ান্ত করা হয়েছে।