অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) প্রকাশিত বিশ্ব শান্তি সূচক-২০২০ এ ৪ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ২.১২১ জিপিআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান নিয়েছে ৯৭তম স্থানে। ২০১৯ সালে এই সূচকে বাংলাদেশ ছিল ১০১তম।
শান্তি সূচকে গেল বছর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। সামগ্রিক স্কোরে বাংলাদেশ ২.৩ শতাংশ উন্নতি করেছে। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। সূচক নির্ধারণের যে তিনটি ডোমেইন রয়েছে সেগুলোর সবকটিতেই উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে সুরক্ষা ও নিরাপত্তায়।
তাছাড়া বিরোধী দলগুলোর সহিংস কর্মকাণ্ডও কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশের উন্নতি হয়েছে। অন্তকোন্দলে মৃত্যুর হার কমেছে। কমেছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও। যা সূচকে বাংলাদেশের উন্নতিকে তরান্বিত করেছে।
সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ স্থানে। যথারীতি শীর্ষে রয়েছে ভুটান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান রয়েছে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তাম স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বৈশ্বিক সূচকে (জিপিআই) ১.৫০১ স্কোর নিয়ে ভুটান রয়েছে ঈর্ষনীয় ১৯তম স্থানে। ইউরোপের বাইরের পঞ্চম দেশ ভুটান যারা সূচকে শীর্ষ ২০ এর মধ্যে জাগয়া করে নিয়েছে।
নেপাল রয়েছে ৭৩তম অবস্থানে (স্কোর- ১.৯৭৪)। শ্রীলঙ্কা রয়েছে ৭৭তম অবস্থানে। ভারতের অবস্থান ১৩৯তম স্থানে। পাকিস্তান রয়েছে ১৫২তম অবস্থানে। আর আফগানিস্তান রয়েছে ১৬৩তম স্থানে।
যথারীতি বিশ্ব শান্তি সূচকে শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। দেশটি ২০০৮ সাল থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল তৃতীয়। এ ছাড়া অস্ট্রিয়া চতুর্থ, পঞ্চম ডেনমার্ক, ষষ্ঠ কানাডা, সপ্তম সিঙ্গাপুর, অষ্টম চেক প্রজাতন্ত্র, নবম জাপান ও দশম সুইজারল্যান্ড।
নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, অর্থনৈতিক মূল্য, ট্রেন্ড ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে দেশগুলোর নেয়া পদক্ষেপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে।