বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে দুই স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই দুই ছাত্রী অন্তঃসত্তা হয়েছে। পৃথক এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশ দুই ধর্ষককেই গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার এজাহারের বরাত দিয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম জানান, উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি’র ফলপ্রত্যাশী এক কিশোরীকে প্রথমে জোরপূর্বক ও পরে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে একই গ্রামের মৃত সেকান্দার আলী মৃধার পুত্র ফজলুর রহমান (৪৫)। এতে ওই স্কুলছাত্রী সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরে। গত ১০ মে ধর্ষক ফজলুর রহমান নিজেকে রক্ষা করার জন্য ওই কিশোরীর অবৈধ গর্ভপাত ঘটাতে জোরপূর্বক তাকে ওষুধ সেবন করিয়ে দেন। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ১২ মে বাকেরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। পরে মা ও সদ্য নবজাতকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের দুজনকেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পথিমধ্যে নবজাতক কন্যা সন্তানটি মারা যায়। অসুস্থ কিশোরী বর্তমানে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা বৃহস্পতিবার বিকেলে ফজলুর রহমান মৃধাকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ওই দিনই অভিযান চালিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নবজাতক হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামি ফজলুর রহমান মৃধাকে গ্রেফতার করেছে।
অপরদিকে শুক্রবার দুপুরে উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, বিয়ের প্রলোভনে উপজেলার শোলক ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের ইদ্রিস বালীর পুত্র দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র শাহজালাল মৃধা আগুন (২১) একই বাড়ির অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়। ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য আগুন মৃধাকে চাপ প্রয়োগ করলে সে নানা টালবাহানা শুরু করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য গর্ভপাতের চেষ্টা করে। বিষয়টি ছাত্রীর মা জানতে পেরে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
গৃহবধূকে ধর্ষণ
গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামের এক গৃহবধূকে (৩৫) জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক পান্নু তালুকদারকে (৪৫) আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, প্রতিবেশী কাদের তালুকদারের পুত্র পান্নু তালুকদার তাকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আটটার দিকে লম্পট পান্নু মুখ চেপে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।