ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের কাদৈর-কুড়িনাল সড়কের নিচে কাঁদা মাটিতে ফেলে পালিয়ে যায়।
তিনি উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের মৃত লিল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম শুক্রবার ইফতার শেষে নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ির পাশে চায়ের দোকানে চা খেতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তার পর আর বাড়িতে ফিরেননি।
তার লাশ কাদৈর রাস্তায় মরে পড়ে আছে- এই সংবাদ রাত ৯টায় জানতে পেরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সোয়া ১০টায় নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক।
নিহত জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই আসাদ মিয়া বলেন, আমার ভাইকে বাড়ি থেকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে চা খেতে দোকানে গিয়েছিলো। এশার নামাজের পরও বাড়িতে না আসায় ভাবী ভাইয়ের মোবাইলে ফোন দিলে অপরিচিত এক লোক ফোনটি রিসিভ করে বলেন, তোমার স্বামী কাদৈর-কুড়িনাল রাস্তার নিচে মরে পড়ে রয়েছে। এই কথা শুনে ভাবী চিৎকার শুরু করে। আমরা জানতে পেরে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ভাইকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে রাস্তার নিচে কাঁদা মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। তখন তাকে উদ্ধার করে নবীনগর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন ও নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনোজিত রায়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও তার পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে নিয়ে এলে তার অবস্থা অবনতি দেখে কুমিল্লায় রেফার করার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তিনি মারা যান। এ হামলার বিষয়ে তদন্ত এবং এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে ইতিমধ্যে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।