ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান মতে, বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ৭৪ হাজার ২৮১ জন। গত এক দিনে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ ও তার জেরে মৃত্যু। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ভুগে ১২২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩ হাজার ৫২৫ জন নতুন করে ওই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, দেশটিতে সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৪৮০ জন এবং এপর্যন্ত দেশে সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৬ জন।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়ানোর ব্যাপারে ইঙ্গিত দেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি করোনার জেরে হওয়া আর্থিক পরিস্থিতির দৈন্যদশা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ২০ লাখ কোটি টাকার একটি আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা করেন। ১৭ মে তারিখের পর ফের ‘লকডাউন ৪’ এর ঘোষণা হলেও এবারে এর বিধিনিষেধ একেবারে অন্যরকমের হবে বলেও ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার এক হাজারেরও বেশি নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে সেখানে। সব মিলিয়ে উদ্ধব ঠাকরের রাজত্বে মোট করোনা আক্রান্ত ২৪ হাজার ৪২৭ জন। মহারাষ্ট্রের পরেই করোনা আক্রান্তের হিসাবে তালিকায় আছে গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং দিল্লি।
মহারাষ্ট্রের মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি যে শহরটিতে কোভিড-১৯ বাসা বেঁধেছে তা হল মুম্বাই। গোটা দেশের প্রায় ১৭ শতাংশ করোনা রোগী এখন বাণিজ্য নগরীতেই। মঙ্গলবারই এই শহরে প্রায় ৩০ জন মারা যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ আরো বেড়েছে। মহারাষ্ট্রে যত মানুষের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশই হয়েছে মুম্বাইয়ে। মৃত্যুর শহর হয়ে উঠেছে এটি। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো মুম্বাইয়ের নতুন নতুন এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
২৫ মার্চ থেকে ভারতে টানা লকডাউন চলছে। আগামী ১৭ মে তার মেয়াদ শেষের কথা থাকলেও মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। তবে তিনি একথাও বলেছেন যে, এবারের লকডাউনে বিধিনিষেধের নির্দেশিকায় বেশ কিছু অদলবদল আসবে।
সূত্র : এনডিটিভি