করোনার সংক্রমণ থেকে মুসল্লিদের জীবন রক্ষায় ঈদের আগে সরকারি খরচে প্রত্যেক জেলা বা উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদগুলোর প্রবেশমুখে ডিসইনফেকশনার গেইট স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণে ধর্মসচিব ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
মসজিদে আগত মুসল্লিরা জীবাণুমুক্ত হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে যাতে নামাজ আদায় করতে পারেন সে জন্য আজ মঙ্গলবার ই-মেইলে ও কুরিয়ারের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সংগঠন ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিল (এনএলসি) চেয়ারম্যান এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যায়। কিন্তু করোনার সংক্রমণ ও মাহামারির ফলে করোনার ভয়াল মরণ থাবা থেকে জীবন রক্ষায় মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে নামাজ আদায় করছে। যেকোনো মুহূর্তে মসজিদে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা করোনার সংক্রমণে পড়ে আক্রান্ত হয়ে জীবন হারানোর ঝুঁকিতে থাকে।
অতএব দেশের সকল মসজিদের দরজায় মসজিদে আগত মুসল্লিদের জীবাণুমুক্ত করে মসজিদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা বা উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদগুলোর প্রবেশমুখে ডিসইনফেকশনার গেইট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেন মসজিদে আগত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জীবাণুমুক্ত হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করতে পারে।
আপনাদের কাছে জনস্বার্থে আমার আকুল আবেদন, দেশের প্রত্যেক জেলা বা উপজেলার কেন্দ্রীয় মসজিদগুলোর প্রবেশমুখে সরকারি খরচে ঈদের আগে ডিসইনফেকশনার গেইট স্থাপনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
জেলা-উপজেলার কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রবেশমুখে সরকারি খরচে ডিসইনফেকশনার গেইট বসাতে আপনারা ব্যর্থ হলে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করে মসজিদের গেইটে করোনার সংক্রমণ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জীবন বাঁচাতে সরকারি খরচে ডিসইনফেকশনার গেইট স্থাপনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হবে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা জানাতে বলা হয়েছে।