জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের সাথে দেখা করেছেন তার পরিবার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তার পরিবারের সদস্যরা কারাগারে দেখা করতে যান।
আবদুল মাজেদের দণ্ড যেকোনো সময় কার্যকর করা হবে। দোষ স্বীকার করে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেওয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা রইলো না। বুধবার রাতেই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো তার প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করা হয়।
কারা সূত্র জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেওয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছে। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।
জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন পর্যন্ত কোনো ফাঁসি কার্যকর হয়নি। তবে ফাঁসিরমঞ্চ প্রস্তুত করা আছে। সম্প্রতি নতুন করে ধোয়ামোছা করা হয়েছে। এতে যেকোনো সময় ফাঁসি কার্যকর করা যাবে।
আবদুল মাজেদকে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর আলোচিত এই হত্যাকারী ২৩ বছর ধরে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। তিনি গত ১৬ মার্চ ঢাকায় ফিরেছেন।
মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর এখন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।